নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গুলশন কলোনি গুলি কাণ্ডে ধৃত মিনি ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বেআইনি অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজ পেতে চাইছে লালবাজার। একইসঙ্গে বিহারের কার কাছ থেকে সে আগ্নেয়াস্ত্র পাচ্ছে, সেটাও জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃত ফিরোজকে দিল্লি থেকে সোমবার কলকাতায় নিয়ে এসে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠায়।
রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির আজমেরি গেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফিরোজকে। পুলিশের তাড়া খেয়ে সে অন্যত্র পালানোর ছক করেছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, গুলশন কলোনির বেআইনি নির্মাণের ব্যবসা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। যে কারণে টাকা রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। যারা এখন এই ব্যবসা চালাচ্ছে, তারা একসময়ে তারই সহযোগী ছিল। ফিরোজের দাবি, এলাকার দখল ফিরে পেতে ও অন্যদের নিজের শক্তি বুঝিয়ে দিতেই সে গুলি চালায়। কিন্তু ভেবে উঠতে পারেনি, বিষয়টি নিয়ে এতটা প্রচার হয়ে যাবে। যে কারণে গাড়ি নিয়ে রাজ্য ছাড়ে। বিহারের একাধিক দুষ্কৃতী ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানার মালিকদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। কোথাও ঘণ্টা তিন-চারেকের বেশি থাকছিল না। গোপন ডেরা থেকেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিয়মিত ফেসবুকে লাইভ করছিল। কিন্তু লালবাজারের তদন্তকারী দলের সদস্যরা বিহারে পৌঁছনোর পর সে বারবার ডেরা বদলাতে থাকে। কিন্তু গোয়েন্দারা তার পিছু ছাড়ছিল না। সে বুঝে যায় বিহারে বেশিদিন থাকা সম্ভব নয়। যে কারণে সে দিল্লি চলে আসে। এখান থেকে অন্য কোনও রাজ্যে পালানোর ছক ছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তার পিছু ধাওয়া করে দিল্লি পৌঁছে যায়। এরমাঝে সে পরিচিত কয়েকজনকে ফোন করে। তার সূত্রে তদন্তকারীরা ফিরোজের অবস্থান জানতে পারেন। সেই সূত্রেই দিল্লি থেকে তাকে ধরা হয়। সোমবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল বলেন, অভিযুক্তকে জেরা করে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সেই কারণে তাকে হেফাজতে নেওয়ার দরকার।