হাইকোর্ট চত্বরে কুকুরের উৎপাত সামলাতে ডাক কলকাতা পুরসভাকে
বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাইকোর্ট চত্বরে পথকুকুরের উৎপাতে জেরবার অবস্থা সকলের। আইনজীবী থেকে শুরু করে মুহুরি কিংবা হাইকোর্টে কাজে আসা মানুষজন—কমবেশি প্রত্যেকেই নাজেহাল হচ্ছেন যত্রতত্র কুকুরের আনাগোনায়। তাই এবার ওই চত্বর থেকে কুকুর সরাতে ডাক পড়ল কলকাতা পুরসভার। তবে পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কুকুরকে অন্য জায়গায় সরানো যাবে না। তাদের ভ্যাক্সিনেশন ও নির্বীজকরণের মতো ব্যবস্থাগুলি করা যেতে পারে।
পুরসভা সূত্রে খবর, সোমবার নব মহাকরণে রেজিস্ট্রার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অফিসে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার কর্তারা। সেখানেই প্রথমে হাইকোর্টে চত্বর থেকে কুকুর সরানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় পুরসভাকে। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকায় তা যে সম্ভব নয়, জানিয়ে দেন পুরকর্তারা। এক পুর-স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের তরফে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে দফায় দফায় ক্যাম্প করে কুকুরগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। নির্বীজকরণও করানো হবে। ভ্যাক্সিনেশন হয়ে গেলে কুকুরের কামড়ে বিপদের আশঙ্কা কমবে। আর নির্বীজকরণ হয়ে গেলে কমে আসবে কুকুরের সংখ্যা। কীভাবে এই কাজ করা সম্ভব, তার একটি এসওপি দিতে বলা হয়েছে। সেটা লিখিতভাবে আমরা পাঠাব। ওই এসওপি অনুমোদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে।’
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাইকোর্ট চত্বরে কুকুরের উপদ্রব নিয়ে আইনজীবীদের একাংশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। কারণ, সারা দিনই হাইকোর্ট চত্বরে কুকুরগুলি ঘুরে বেড়ায়। অনেক সময় তারা আদালতের ভিতরেও ঢুকে পড়ে। অনেকে তাদের যেখানে সেখানে খাবার দেয়। ফলে যত্রতত্র পড়ে থাকে এঁটোকাঁটা, আবর্জনা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলে সেই উৎপাত আরও বেড়ে যায়। অন্ধকারে কুকুরের গায়ে পা পড়ে গেলে কামড় খাওয়ার উপক্রম হয়। কখনও কখনও গাড়ির তলায় কুকুর শুয়ে থাকলেও সমস্যা হয়। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতেই কুকুর নিয়ন্ত্রণে ডাক পড়েছে পুরসভার।