রাতভর অবিরাম বৃষ্টি। আর তাতেই চরম দুর্ভোগ। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা এবং এলাকা এখন জলমগ্ন। এজেসি বোস রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত সড়কে হাঁটু জল। সেখানে ট্যাক্সি বা ছোট কোনও যানবাহন চলতেই পারছে না। অবশ্য শুধু কলকাতা নয়, গোট দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই গতকাল রাতে অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বৃষ্টির 'ফলাফল' দেখা যাচ্ছে সকালের আলো ফোটার পরে। কলকাতার বহু অঞ্চলে মানুষের বাড়িতে জল পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছে।
কলকাতায় গত ১ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি। কয়েকটি জায়গায় তিন ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২০০ মিলিমিটারের গণ্ডি। মঙ্গলের সকালে অমঙ্গলে মেঘ ঘুরঘুর করছে কলকাতার আকাশে। সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪টে পর্যন্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ভিত্তিক বৃষ্টিপাতের পরিমাপ অনুযায়ী, মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪৭ মিমি, কামডহরি এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ২৪৫ মিমি। তপসিয়া, বালিগঞ্জ বৃষ্টির পরিমাণ ২৪০ মিমির ওপরে। উল্টোডাঙা, কাঁকুড়গাছি এলাকাও জল থৈ থৈ অবস্থা। কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতেও এই বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে। এদিকে আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই ওই সাতটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর ভোরেই উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকার উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরের আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই সিস্টেমটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর উত্তর-পশ্চিম ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার অধিকাংশ জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ঝড়ের জন্য দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার অনেকাংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ঝড়ের জন্য প্রতিটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।