• ভোটমুখী বিহারে কাল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক
    আজকাল | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আবু হায়াত বিশ্বাস, দিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর: বহু বছর পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক  হতে চলেছে বিহারে। কাল বুধবার পাটনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শেষ বার ১৯২২ সালে গয়ায় বিহারে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পাটনায় কংগ্রেসের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হতে চলেছে। কারণ, বিহারের নির্বাচন কংগ্রেস তথা বিরোধীদের সামনে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর সমান। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠক থেকে বেশ কিছু বিষয় প্রস্তাব পাস করা হবে। সদ্য বিহারের ১৩০০ কিলোমিটার ভোটার অধিকার যাত্রা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেই যাত্রা সফল করার জন্য বিহার বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব পাস করা হতে পারে। 

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল কি হতে পারে সে নিয়েও বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভোট চুরি ইস্যুতে সরব হয়েছেন। বিহার তো বটেই বিষয়টি এখন গোটা দেশেই আলোচিত। এই ভোট চুরি  ইস্যুকে আরও এগিয়ে নিজে নিয়ে যেতে চাইছে কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা হবে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি, অগ্রণী সংগঠনের নেতা বিশিষ্ট পারাধিকারীরা ও উপস্থিত থাকবেন। আগামী দিনে দলকে আরও আন্দোলনমুখী করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকেই। 

    বিহারে  নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে কংগ্রেস। পাঁচ বছর আগে কংগ্রেস ৭০টিআসনে লড়ে মাত্র ১৯টি আসনে জিতেছিল। এ বার রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রার সাফল্যে ভর করে কংগ্রেস ৭০টি এবং বেশিজেতার মতো আসন চাইছিল। তবে এবার ৬০ এর আশপাশে  থাকবে। আসন্ন রফা নিয়ে ইতিমধ্যেই আর জে ডি প্রধান তেজস্বী যাদবের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছেন কংগ্রেস নেতারা। শিগগিরই চূড়ান্ত আসুন রফা হয়ে যাবে। পাটনা কংগ্রেস দপ্তরের সদকাত ভবনের পাশেই বসছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। ভোট মুখী বিহারে ওই বৈঠক করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় বর্তমানে ক্ষমতায় এনডিএ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এই শিবিরে রয়েছে বিজেপি, জেডিইউ ও লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের হাল ধরেছে আরজেডি। তাদের পাশে কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি। তবে এ বার সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ পার্টি। বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায় দাপিয়ে প্রচার করছে পিকে-‌র দল। তার দল এবারের ভোটে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। জনসুরজ পার্টি এবার বিহারের শাসক ও বিরোধী শিবিরের ভোট কাটতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।
  • Link to this news (আজকাল)