সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতভর টানা বৃষ্টি শহরে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫ ঘণ্টায় আড়াইশো মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর যা রেকর্ড। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন। খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই পরিসংখ্যানও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আর এই মৃত্যুর দায় সিইএসসি-র উপর চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানান, “এর দায় সিইএসসি-কেই নিতে হবে। এখনই তাঁরা জরুরিভিত্তিতে কর্মীদের নামিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুক।”
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি দাবি করেন, সিইএসসি-র উদাসীনতার বলি এই ৭ জন। সিইএসসি-র উচিত, মৃতদের পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে তাঁর অভিযোগ, “এখানে তারা ব্যবসা করছে আর আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।” পাশাপাশি শহরবাসীকেও আবহাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে বেরবেন না। বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে অনুরোধ, আজ কর্মীদের ছুটি কাটবেন না। মানবিকভাবে বিষয়টি বিবেচনা করুন।” সেইসঙ্গে প্রয়োজনে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু সোমবার, প্রতিপদের রাতের টানা বর্ষণ রেকর্ড গড়েছে এবং সেইসঙ্গে জলবন্দি কলকাতার ছবিও কার্যত বিরল। পথঘাটে জলের তোড়ে বাস, অটো, গাড়ি চলার উপায় নেই। রেললাইন, মেট্রো ট্র্যাকও জলের নিচে। এই অবস্থায় ব্যাপক ধাক্কা পরিবহণ ব্যবস্থায়। রাস্তায় বেরিয়ে বিপদের মুখে পড়ছেন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সাবধানবাণী, ”ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরবেন না।”