ভারী বৃষ্টির জেরে ৩ দিন আগেই স্কুল-কলেজে পড়ল পুজোর ছুটি, বাতিল CU-র পরীক্ষা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৬ তারিখ ক্লাস হয়ে পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল স্কুল এবং কলেজগুলিতে। তবে কলকাতা এবং দক্ষিণঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে ৩ দিন আগেই ছুটি ঘোষণা করা হল স্কুল কলেজগুলিতে। এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাও বাতিল হয়েছে বৃষ্টির জেরে। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলির উদ্দেশে মমতা বলেন, কর্মীদের যাতে বাড়ি থেকে কাজ করতে দেওয়া হয়। ছুটি ঘোষণা করে মমতা বলেন, 'আমি শিক্ষাদপ্তরকে বলেছি, আজ থেকেই সমস্ত স্কুলগুলোকে ছুটি ঘোষণা করে দিক। আর অন্যান্য স্কুল, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন, তারা তো আমাদের কথা শোনে না। তবু আমি তাদের কাছে অনুরোধ করেছি যে, দু’দিন স্কুল ছুটি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হোক। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যদি ক্লাস করাতে হয়, তাহলে যেন অনলাইনে ক্লাস হয়। কোভিডের সময় যেমন হচ্ছিল।'
এরই সঙ্গে আইসিএসই ও সিবিএসই বোর্ডের স্কুলগুলোকেও ২ দিন ছুটি দেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘খুব দরকার ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বেরবেন না।’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সম্ভব হলে ছুটি অন্যথায় অনলাইন ক্লাস করানোর আর্জি জানান মমতা। এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে আজ জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল। তিনি বলেন, 'প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বাতিল নির্ধারিত সব পরীক্ষা। পরে পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।'
এদিকে কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই সব মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের কাঁধ থেকে দায় ঝেরে ফেলল রাজ্য সরকার। এই সব মৃত্যুর জন্য সরাসরি সিইএসসিকে দায়ী করলেন মমতা। নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, 'এর দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। এখনই তারা জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের নামাক। এখানে ব্যবসা করছে। আর পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের কাজ করছে রাজস্থানে। আর এখানে আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।' এদিকে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সারারাত অবিরাম বৃষ্টিতে কলকাতা বিপর্যস্ত। এই বিপর্যয়ে একের পর এক মৃত্যু ঘটেছে শহরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নেতাজিনগরে, কালিকাপুরে, বালিগঞ্জ প্লেস, বেনিয়াপুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে পথ চলতি মানুষেরা। পরিস্থিতি এমনই, বেশ কিছু জায়গায় মৃতদেহ উদ্ধারও করা যাচ্ছে না জল জমে থাকার কারণে। জমা জলের ওপরেই পড়ে থেকেছে দেহ। এই আবহে জায়গায় জায়গায় খোলা মিটার বক্স বা ল্যাম্পপোস্ট থেকে ছেঁড়া তার আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।