তিন দশকের কেরিয়ারে এই প্রথমবার অভিনেতা শাহরুখ খান জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হলেন। বাদশার মুকুটে যোগ হলো ‘জাতীয় পালক’। মঙ্গলবার ৭১তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা অভিনেতা হিসেবে কিং খানের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
পয়লা অগস্টেই জাতীয় পুরস্কার জয়ীদের তালিকা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেরা অভিনেতা বিভাগে শাহরুখের সঙ্গে পুরস্কৃত হলেন 'টুয়েলভথ ফেল'-এর নায়ক বিক্রান্ত মাসেও। 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর শিরোপা পেলেন রানি মুখোপাধ্যায়। একই মঞ্চে 'কুচকুচ হোতা হ্যায়'-র 'রাহুল' আর 'টিনা'-কে দেখে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ।
মাঝে অনেকটা সময়। প্রায় ৩৩ বছর। এরই মাঝে কখনও তিনি 'রাজ', কখনও বা 'রাহুল', কারও কাছে কাবেরী আম্মার 'মোহন', তো কারও কাছে 'মেজর সমর আনন্দ'... বাদশার অভিনয় যাত্রা অব্যাহত। সব ছবি যে বক্সঅফিসে সফল সে কথা হলফ করে বলা যায় না। তিনি নিজেও বুঝেছিলেন সে কথা। তাই মাঝে বেশ কিছু দিনের জন্য বিরতিও নিয়েছিলেন। সেই সময়টাতে নিজে ভেঙে-চুরে নতুন করে গড়েছেন। বয়স এবং শারীরিক সমস্যাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করে গিয়েছেন বাদশা। ফিরে এসেছেন সুপারহিট 'পাঠান', 'জওয়ান' এবং 'ডাঙ্কি' নিয়ে। সেই 'জওয়ান'-এর জন্যই জাতীয় পুরস্কার এল মান্নাতে।
জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে একইসঙ্গে সম্মানিত হলেন দক্ষিণী অভিনেতা মোহনলাল বিশ্বনাথন। ৫৩তম দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কার পেলেন তিনি। চার দশকের কর্মজীবনে মোহনলাল ৪০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। মালয়ালম ছবি ‘থিরানোত্তম’-এ অভিনয়ের মাধ্যমেই তাঁর চলচ্চিত্র জগতে হাতেখড়ি। মালয়ালম ছবিতেই মোহনলালের অবদান বেশি। তবে তামিল, হিন্দি, তেলুগু, কন্নড় ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।