জলমগ্ন রাস্তা পেরিয়ে পাইলটদের বিমানবন্দরে পৌঁছোনোই ‘চ্যালেঞ্জ’, কলকাতা থেকে সব উড়ানেই দেরি!
আনন্দবাজার | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাতভর ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়ল কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় সব বিমানই দেরিতে চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাতিল করে দিতে হয়েছে দুই-তিনটি বিমান। বিমানের কোনও যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে পাইলট এবং অন্য বিমানকর্মীরা সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছোতে পারছেন না। তার জেরে প্রায় সব বিমানই দেরিতে উড়ছে।
সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন। যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে শহরে। কলকাতার জলযন্ত্রণার কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। ইএম বাইপাস, মা উড়ালপুল, এজেসি বসু রোড উড়ালপুল, আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, কাঁকুড়গাছি আন্ডারপাস, মহাত্মা গান্ধী রোড, সিআর অ্যাভেনিউ, বিধান সরণি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সকাল থেকেই অন্য দিনের তুলনায় ধীর গতিতে যান চলাচল করছে। শহরের এই জলযন্ত্রণার প্রভাব পড়ল বিমানবন্দরেও।
সকাল থেকে প্রায় সব বিমানই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে রওনা দিয়েছে কলকাতা থেকে। কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর প্রভাতরঞ্জন দেওরিয়া বলেন, “প্যাসেঞ্জার, ক্যাপ্টেন, ক্রু-রা সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছোতে পারেননি। দু’-তিনটি বিমান বাতিল হয়েছে। দেরিতে চলছে সব বিমান।”
রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে বিমানবন্দরের ভিতরেও কিছু জায়গায় জল জমেছিল। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিমানবন্দরের ভিতরের জমা জল বার করার জন্য ছ’টি পাম্প ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বিমানবন্দরের ভিতরের পরিস্থিতি সার্বিক ভাবে স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানিয়েছে ওই সূত্র। স্বাভাবিক রয়েছে বিমানবন্দরের রানওয়েও। তবে পাইলট এবং অন্য বিমানকর্মীরা সময়ে পৌঁছোতে না-পারায় বিমানগুলি দেরিতে রওনা দিচ্ছে।
সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা এবং শহরতলিতে। একটানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। উত্তর থেকে দক্ষিণ— গোটা শহরেই একই পরিস্থিতি। বিভিন্ন গলিপথও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে। বহু বাড়ি ও গাড়ি জলের নীচে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব রাস্তায় আগে কখনও জল জমেনি, সেই রাস্তাও জলের তলায়। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত উল্টোডাঙায় ২০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ধাপায় বৃষ্টি হয়েছে ২১২ মিলিমিটার।