‘দুঃখজনক ঘটনা’, ৬০০০ কর্মী রাস্তায় নামানো হয়েছে, ৮ মৃত্যুর পর যা জানাল CESC
TV9 বাংলা | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কলকাতা: নজিরবিহীন বৃষ্টি। শুধুমাত্র কলকাতা শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। পুরো ঘটনায় সিইএসসি-কেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বারবার বলা সত্ত্বেও কলকাতা শহরে বিদ্যুতের তারগুলি বদলানো হয়নি। মঙ্গলবার দিনভর জল যন্ত্রণার পর ৮ মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক বলে ব্যাখ্যা করল সিইএসসি।
CESC-র তরফে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “এতবড় একটা দুঃখজনক ঘটনা। যা যা করতে হয় করা হবে।” এত বেশি বৃষ্টি যে প্রত্যাশিত ছিল না, সেকথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি।
সিইএসসি-র বক্তব্য, সোমবার রাত থেকে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। সংস্থার কর্তা বলেন, “এমন বৃষ্টিপাত কবে হয়েছে আমার মনে নেই। সারা শহরে জল জমে আছে। নিরাপত্তার কারণে আমাদের বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ করতে হয়েছে। আমরা জানি অসুবিধা তৈরি হচ্ছে। সব জায়গায় জল বিপদসীমার উপরে গিয়েছে এমনটা নয়, তবে সাউথ কলকাতা ও ঢাকুরিয়া, বেহালা, যাদবপুরে বন্ধ রাখতে হয়েছে বিদ্য়ুৎ পরিষেবা।” আজকের দিনটা সাধারণ দিনের মতো নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কলকাতায় আট জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে সিইএসসি জানাচ্ছে, এর মধ্যে পাঁচটি ঘটনা ব্যক্তিগত। একটা সিগন্যাল বক্স থেকে হয়েছে ও দুটো হয়েছে স্ট্রিট লাইট থেকে।
৫০ শতাংশ পরিষেবা চালু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সংস্থা জানাচ্ছে, ১০০ অতিরিক্ত টিম নামানো হয়েছে। সিইএসসি-র ৬০০০ কর্মী রাস্তায় আছে।
আর মুখ্যমন্ত্রী যে তার বদলানোর কথা বলেছেন, সেই প্রসঙ্গে অভিজিৎ ঘোষ নামে ওই আধিকারিক বলেন, “অনেক রকমের কারণ আছে। আমাদের দায়িত্ব আছে। আমার বাড়ির তার কীভাবে বদল করব, সেটার তো একটা নিয়ম আছে। আমফানের পরে অনেক কিছু করা হয়েছে। আমফান এমন একটা ঝড়, যার ধাক্কা অনেক বেশি ছিল। এখানে বেশিক্ষণ সাপ্লাই বন্ধ হলে লোকে নিতে পারে না। আমাদের সিস্টেম অনুযায়ী করতে হয়।”