• মহাগঠবন্ধনে ব্রাত্য, উপায় না দেখে তাই বিহারে একাই প্রচারে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি
    আজকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শেষপর্যন্ত কোনও উপায় না দেখে বিহারের ভোটে একা লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের 'সীমাঞ্চল ন্যায় যাত্রা' দিয়ে বিহার নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

    ওয়েইসি অবশ্য বিজেপি বিরোধী বিহারে বিরোধীদের মহাগঠবন্ধনে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। লালুপ্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদবকে এআইএমআইএম-এর শীর্ষ নেতৃত্ব তিনটি চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু তার সদুত্তোর মেলেনি। ফলে আর দেরি করতে রাজি নন ওয়েইসি।

    কেন মিলল না সাড়া? জবাবে এনডিটিভি-কে ওয়েইসি বলেছেন, "আখতারুল ইমান লালু প্রসাদ যাদবকে দু'টি এবং তেজস্বী যাদবকে একটি এবং শেষ চিঠি লিখেছিলাম। বিহারে আমরা ছয়'টি আসন লড়ার জন্য প্রস্তুত। বদলে বলেছিলাম আমার দলকে একটি মন্ত্রিত্বও দিতে হবে না। এরপর আমরা আর কী করতে পারি..."।

    মূলত সংখ্যালঘুরাই এআইএমআইএম-এর ভোটব্যাঙ্ক। ফলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সীমাঞ্চলের জেলাগুলির উপর দিয়ে যাবে ওয়েইসির যাত্রা। তিন দিনের যাত্রায় মোট ২৪-২৫টি আসনকে টার্গেট করছেন হায়দ্রাবাদের সাংসদ। 

    ২০২০ বিধানসভায় বিহারে আচমকায় শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে উঠে আসে ওয়েইসির দল। রাজ্যের ২৫টি আসনে লড়াই করে সীমাঞ্চল এলাকায় পাঁচটি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল এআইএমআইএম। একাধিক আসনে তাঁদের প্রাপ্ত ভোটই নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। পরে অবশ্য এআইএমআইএম এর পাঁচ বিধায়কের চারজনই আরজেডিতে যোগ দেন। একমাত্র অবশিষ্ট বিধায়ক আখতারুল ইমামই এখন দলের রাজ্য সভাপতি। এবার ফের সীমাঞ্চলকে টার্গেট করছে ওয়েইসির দল।

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওয়েইসির দল বিহারে কোনও আসন জিততে ব্যর্থ হলেও সীমাঞ্চলের ভোটব্য়াঙ্ক ধরে রেখেছি দল।

    সূত্র জানিয়েছে যে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবার স্থানীয় অসন্তোষ এবং তাঁর শিবিরে যোগদানকারী সমাজকর্মীদের উপর নির্ভর করে ২৫টি আসনের বাইরেও এআইএমআইএম-এর পদচিহ্ন প্রসারিত করতে চাইছেন।

    যদি আরজেডি, কংগ্রেস এবং এআইএমআইএম-এর মধ্যে কোনও বোঝাপড়া না হয়, তাহলে দলটি মুসলিম অধ্যুষিত সীমাঞ্চলে আরজেডি-কংগ্রেসের ভোটের দখল কমাতে পারে, যা বিহারের ২০২৫ সালের সমীকরণকে বদলে দিতে পারে।

    ঘটনাক্রমে, ওয়েইসির দল তেলেঙ্গানার ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে ইস্যু-ভিত্তিক সমর্থনদিয়ে থাকে।

    এই যাত্রায় রোডশো এবং রাস্তার ধারে সভা অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং "সীমাঞ্চল অঞ্চলের উন্নয়ন এবং ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য জনগণকে একত্রিত করার" লক্ষ্যে কিষাণগঞ্জ থেকে শুরু হবে। এটি কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়া এবং কাটিহার জেলাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে, যেগুলি ওয়াইসির দীর্ঘদিনের ফোকাস এলাকা এবং যেখানে তিনি ৩৭১ অনুচ্ছেদের অধীনে সীমাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের জন্য চাপ দিয়ে চলেছেন।
  • Link to this news (আজকাল)