দুর্গাপুজোর আগেই বড় ঘোষণা দিল্লিতে, ‘হিন্দুদের উৎসবে অসুবিধা’ জানিয়ে মাইক বাজানোয় বিরাট নির্দেশিকা জারি মুখ্যমন্ত্রীর...
আজকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে দুর্গাপুজো ও রামলীলার অনুষ্ঠানে রাত ১২টা পর্যন্ত মাইক এবং পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। মঙ্গলবার উৎসবের মরশুম শুরুর আগে এই ঘোষণা করেন তিনি। সাধারণত রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকে রাজধানীতে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই ছাড় কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ রাত দশটার পরেও মাইক বা মিউজিক সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে। গত বছরও দিল্লির তৎকালীন আপ সরকার একই ধরনের ছাড় দিয়েছিল।
ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় লক্ষ্য করেছি আমাদের হিন্দু ধর্মের উৎসবগুলিতে অসুবিধা তৈরি হয়, কারণ রামলীলা বা দুর্গাপুজো রাত ১০টার মধ্যেই শেষ করা যায় না। যখন গুজরাটে ডাণ্ডিয়া সারারাত চলতে পারে, অন্য রাজ্যেও অনুষ্ঠান রাতভর হয়, তাহলে দিল্লির মানুষদের জন্য তা কেন হবে না?’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এবার আমরা সব রামলীলা, দুর্গাপুজো এবং সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় উৎসবে রাত ১২টা পর্যন্ত মাইক এবং পাবলিক অ্যাড্রেস চালানোর অনুমতি দিয়েছি। রামরাজ্য যেন আসে দিল্লিতে, সেইজন্য আমাদের সকলকেই কিছুটা কাজ করতে হবে’। এদিকে, দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা এক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি এই ঘোষণাকে রামলীলা কমিটিগুলির দীর্ঘদিনের দাবি বলেও উল্লেখ করেছেন।
তবে নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে, রাত ১০টার পর মাইক, মিউজিক সিস্টেম, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম চালানো গেলেও শব্দের মাত্রা যেন কোনওভাবেই ৪৫ ডেসিবেল অতিক্রম না করে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসআইআরকে কেন্দ্র করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে রাজধানী দিল্লি। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় পর রাজধানী দিল্লিতে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে রাজনীতির ময়দানে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা ও বিতর্ক। অভিযোগ উঠছে—এই প্রক্রিয়া ভোটারদের অযথা হয়রানি করছে এবং রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের ভোটাধিকার খর্ব করার হাতিয়ার হতে পারে।
দিল্লির মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (CEO) দপ্তর জানিয়েছে, এবার ভোটার যাচাই হবে ২০০২ সালের তালিকার ভিত্তিতে। পূর্বে যেমন বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেটররা তথ্য সংগ্রহ করতেন, এবার প্রতিটি ভোটারকেই নিজ উদ্যোগে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) কাছে ফর্ম ও নথি জমা দিতে হবে। যাদের নাম ২০০২ এবং বর্তমান উভয় তালিকায় আছে, তাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে নির্যাসসহ ফর্ম জমা দিতে হবে। যারা ২০০২ সালের পর প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন বা দিল্লিতে বসবাস শুরু করেছেন, তাদের পিতা-মাতার নাম পুরনো তালিকায় থাকলে সেই প্রমাণ দেখিয়ে সঙ্গে নিজেদের পরিচয়পত্র জমা করতে হবে।