• কাঁপবে প্রতিবেশী দেশ
    আজকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের নৌবাহিনী বড় একটি কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে খুব শীঘ্রই বহাল করবে নতুন স্বদেশী সাবমেরিন যুদ্ধজাহাজ ‘অ্যান্ড্রথ’। এটি রিচ শিপবিল্ডারস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (GRSE), কলকাতা দ্বারা নির্মিত।  

    অ্যান্ড্রথ’ নামটি এসেছে লক্ষদ্বীপের আন্দ্রথ দ্বীপ থেকে, যা তুলে ধরেছে ভারতের সাগরসীমা ও সমুদ্রপ্রদেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব। এই ধরনের নামকরন প্রতীকী হলেও থাকে কৌশলগত অনুভবেরও—এটি দেখায় যে সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশীয় সীমান্তে নয়, ভারতীয় উপসাগর এবং আঞ্চলিক জলমন্ডলেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চায়। অ্যান্ড্রথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৭.৬ মিটার, ওজন প্রায় ৯০০ টন। এটি ডিজেল ইঞ্জিন ও ওয়াটার-জেট সংকেতিত প্রণোদনায় চলবে। এইভাবে এটি কেবল গতিতে ভালো নয়, নাবিকতাতেও অধিক নমনীয়। 

     ড্রাফ্ট মাত্র প্রায় ২.৭ মিটার, যা এর উপকূলীয় ও অগভীর জলের এলাকায় সাবমেরিন বা অন্যান্য জলযান শনাক্ত ও মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে উপযোগী। 

    যুদ্ধোপকরণ ও সেন্সর সিস্টেমও অত্যাধুনিক: এতে রয়েছে লাইটওয়েট টরপেডো, স্বদেশী ASW রকেট, উন্নত শ্যালো ওয়াটার সোনার, এবং GRSE দ্বারা তৈরি একটি ৩০ মিমি নেভাল সারফেস গান। জাহাজের মাঝেও রয়েছে যুদ্ধ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা , কোর আসনসংক্রান্ত প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও নজরদারি সক্ষমতা। 

    স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতার দিক

    এই প্রকল্প (ASW‑SWC সিরিজ) ভারত সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের একটি জোরালো প্রতিফলন। অ্যান্ড্রথ সহ এই ধরনের জাহাজগুলোর ৮০ শতাংশেরও বেশি উপাদান স্বদেশী উৎস থেকে আসছে। এই ধরনের প্রকল্প শুধু প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বাড়ায় না, বরং অভ্যন্তরীণ শিল্পশ্রেণি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে উন্নত করে, কর্মসংস্থান বাড়ায় এবং বিদেশী নির্ভরতা কমায়। 

    অ্যান্ড্রথ উপকূলবর্তী এলাকায় সাবমেরিন কর্মসহ বিভিন্ন ধরণের মিশন সম্পাদনায় সক্ষম হবে—জলরেখার নজরদারি, শোনা-জ্ঞাত কাজ, SEARCH-AND-ATTACK অপারেশন, এবং বিমানসহ সামঞ্জস্যপূর্ণ যুদ্ধায়োগ। এছাড়া মিন-লেইং অপারেশন ও কম তীব্রতার সামুদ্রিক কাজকর্মেও ব্যবহৃত হবে।

    চ্যালেঞ্জ ও গুরুত্ব

    ভবিষ্যতে ভারতের সামুদ্রিক সুরক্ষা ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবেশ বিবেচনায়, সাবমেরিন হুমকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর আধুনিক সাবমেরিন এবং মনিটরিং প্রযুক্তি উন্নয়ন এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ। এই প্রেক্ষাপটে, অ্যান্ড্রথের মতো গতিসম্পন্ন ও অগভীর জলের জন্য উপযোগী যুদ্ধজাহাজ ভারতের উপকূলীয় সুরক্ষা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
  • Link to this news (আজকাল)