• খাস কলকাতায় হাড়হিম কাণ্ড! নর্দার্ন পার্কে মায়ের সঙ্গে ছেলের পচাগলা দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ...
    আজকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে যখন শহর কলকাতা বানভাসি ঠিক সেই সময় আজ দুপুরে উত্তর কলকাতায় মা ও ছেলের পচাগলা জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বর্তমানে মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। 

    বলা বাহুল্য, আজ দুপুর প্রায় ২:৩০ মিনিটে বাঁশদ্রোণী থানায় এক চাঞ্চল্যকর খবর পৌঁছায়। কুনাল দাস নামে এক ব্যক্তি লোকাল থানায় গিয়ে জানান, তাঁর আত্মীয়া শীলা দাসগুপ্তের ফ্ল্যাটের দরজা বিগত কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এবং ভেতর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। শীলা দাসগুপ্তের ফ্ল্যাটটি নর্দার্ন পার্কের বি ৩/২৬ নম্বরে অবস্থিত।

    খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বারংবার দরজা ধাক্কা দেয়। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া না মেলায় অবশেষে দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে। ভিতরে ঢুকেই চোখে পড়ে শোবার ঘরে পচাগলা অবস্থায় পরে রয়েছে শীলা দাসগুপ্ত (৬৯) এবং তাঁর ছেলে সুতীর্থ দাসগুপ্তের (৩৮) মৃতদেহ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটটিতে অন্য কোনও প্রবেশ বা নির্গমনের রাস্তা ছিল না। প্রতিবেশীরা এবং তাঁর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, দাসগুপ্ত পরিবার মূলত ওড়িশার পুরীর বাসিন্দা। শীলা দেবীর স্বামী সেখানে এক কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর পুরীর শারদা দেবী রোডের বাড়ি বিক্রি করে মা-ছেলে প্রায় এক বছর পাঁচ মাস আগে কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুতীর্থ কিছুদিন যাবৎ মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন। অন্যদিকে শীলা দেবী কিছুদিন আগে ভুবনেশ্বরে ব্রেন সার্জারি করিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁরা দু’জনেই নিয়মিত ঢাকুরিয়ার এএমআরআই হাসপাতালে যেতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে আলপ্রক্স (০.৫ মি.গ্রা) ওষুধের খালি স্ট্রিপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    প্রতিবেশীদের দাবি, শেষবার তাঁদের দেখা গিয়েছিল প্রায় তিন-চার দিন আগে। তারপর থেকেই ফ্ল্যাটটি ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় ছিল। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তবেই পরিষ্কার হবে কীভাবে একইসঙ্গে মা-ছেলের মৃত্যু ঘটল। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এই ঘটনা নিয়ে, কীভাবে মা ও ছেলের একসঙ্গে এমন মৃত্যু এবং পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনা কি আদৌ আত্মহত্যা নাকি খুন তা পরিষ্কার হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷ 
  • Link to this news (আজকাল)