• কিছুদিনের মধ্যেই জলের নীচে ধর্মতলা, ভিক্টোরিয়া, ডালহৌসি, শিয়ালদহ? ৮২ কিমি স্থল সোজা চলে যাবে সমুদ্রের নীচে...
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমুদ্রস্তর বাড়ছে (Sea levels rising)। সারা পৃথিবীতেই শহরগুলি আতঙ্কে। ভারতের অনেক শহরই ডুববে (cities of India is sinking)। বহু শহরের মধ্যে আছে (Several metropolitan cities of India) আছে কলকাতাও (Kolkata)। ২০৩০ সালেই কি শেষ (2030 is the end)?

    উপকূল শঙ্কায়

    বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ভারতের উপকূলবর্তী শহরগুলি আতঙ্কে কারণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই-এর মতো উপকূলীয় শহরগুলি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এগুলি আসন্ন বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। আরও বিস্তারিতভাবে বললে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রের জল উত্তপ্ত হয়ে বাড়ছে। যার ফলস্বরূপ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে এই শহরগুলিতে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, এবং উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

    ২০৩০-য়েই জলের নীচে কলকাতা

    একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাত্র ৫-৬ বছরের মধ্যে সমুদ্রজল কলকাতা শহরকে স্পর্শ করবে। যা এই শহরের বেশিরভাগ অংশকেই প্লাবিত করবে। এরপর কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলই ধীরে ধীরে জলমগ্ন হয়ে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে, ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, কলকাতার মাটির নীচের পলিস্তর ধীরে ধীরে স্থানচ্যুত হচ্ছে। ফলে কলকাতার মাটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।

    ১২ বছরের মধ্যে ১২ শহর

    সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলস্তর বৃদ্ধি কলকাতার জন্য বিপজ্জনক। তবে শুধু কলকাতা নয়, আগামী ১২-১৫ বছরের মধ্যে ভারতের ১২টি উপকূলীয় শহর ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    জলবায়ু পরিবর্তন

    জলবায়ু পরিবর্তনের সতর্কবার্তা হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা সব জায়গায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। সব বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে বহু এলাকাই ডুবে যাবে। অনেক বিজ্ঞানীর মতে, যদি ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করা না যায়, তাহলে বিপদ ভয়াবহ হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশ পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।

    হিমবাহ গলছে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমশ বাড়ছে। সমুদ্রের জলস্তর বেশ কয়েক ফুট বেড়ে যাবে। যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ে, তাহলে নোনা জল নদীতে প্রবেশ করতে শুরু করবে। অনেক উপকূলীয় শহরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে নদীবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।

    ভয়ংকর পূর্বাভাস

    পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল বরাবর সোজা ৮২ কিলোমিটার পর্যন্ত স্থলভাগ সমুদ্রের নিচে চলে যাবে। এই ঘটনার ১০ বছর পর, সমুদ্রের জল আরও ৭০ কিলোমিটার স্থলভাগে প্রবেশ করবে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)