• জমা জলে ভাসছে দেহ! ভয়ংকর 'মারণ' বৃষ্টি কলকাতায় কাড়ল ৯ প্রাণ...
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ংকর বৃষ্টিতে কলকাতায় মৃত ৯। এরমধ্যে ৭ জন বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। দুজনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়, একজনের দেহ পাওয়া যায় জলে ভাসমান অবস্থায়। কলকাতার ৮০টি রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিভিন্ন এলাকায়। 

    বেহালা ১, হরিদেবপুর ১, গরফা ১, গড়িয়াহাট ১, বেনিয়াপুকুর ১, শেক্সপিয়র সরণি ১, একবালপুর ১ এবং নেতাজিনগরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।বেহালায় বুড়ো শিবতলা এলাকায় কারখানার মধ্যে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কর্মীর মৃত্যু, নাম সুনীল সূতার। একবালপুর, গড়িয়াহাটেও মৃত্যু। নেতাজিনগরে বাবু কুন্ডু (৭০) নামে এক ফল বিক্রেতার মৃত্যু। গড়ফার কালিকাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু এক সাইকেল আরোহীর। গড়িয়াহাটের বালিগঞ্জ প্লেসে একজনের মৃত্যু। একবালপুর হোসেন শাহ রোডে বাড়ির কাছেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৬০ বছরের জিতেন্দ্র সিংয়ের। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাড়ির সামনে জল জমে ছিল। ঘর থেকে বেরিয়ে দু-পা হাঁটতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ১। হরিদেবপুর কবরডাঙা বাজারের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের। একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন এক মহিলা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। আবহাওয়া দফতরের রেকর্ড অনুয়ায়ী সেপ্টেম্বরের বৃষ্টির নিরিখে কাল রাতের বৃষ্টি তৃতীয় স্থানে। সর্বকালীন বৃষ্টির নিরিখে ষষ্ঠ স্থানে। শহরের ৮০ রাস্তা এখনও জলের নীচে। বেশির ভাগ জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে।

    দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতা:

    * যোধপুর পার্ক, গড়িয়া, গল্ফ গ্রিন: এই অঞ্চলগুলি জলাবদ্ধতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোধপুর পার্ক এবং গল্ফ গ্রিনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

    * বেহালা: বেহালার বেশিরভাগ অংশ জলাবদ্ধ, যা একটি নিষ্কাশন প্রকল্পের জন্য চলমান রাস্তা মেরামতের কারণে বিদ্যমান যানজটকে আরও জটিল করে তুলেছে।

    * বালিগঞ্জ এবং কালীঘাট: এই অঞ্চলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে রাস্তা এবং আশেপাশের এলাকাগুলি ব্যাপকভাবে জলমগ্ন।

    পূর্ব কলকাতা এবং ইএম বাইপাস:

    * চিংড়িঘাটা এবং ধাপা: এই অঞ্চলগুলি জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে এবং বর্তমানে জলমগ্ন রাস্তার কারণে ভারী যানজটের সম্মুখীন হচ্ছে।

    * তোপসিয়া: তোপসিয়া ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের আওতাধীন এই অঞ্চলটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জলাবদ্ধতার কারণে সংযোগকারী সড়কগুলিতে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    * ইএম বাইপাস: পূর্ব মেট্রোপলিটন বাইপাসের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে রুবি ক্রসিংয়ের আশেপাশে জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে যাত্রীদের জন্য বড় ধরনের বিলম্ব হচ্ছে।

    মধ্য কলকাতা:

    * মোমিনপুর, পামার বাজার এবং ট্যাংরা: এই অঞ্চলগুলিতে খুব বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং তীব্র জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে, যা যানবাহন চলাচলকে অচল করে দিচ্ছে।

    * সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ: এই প্রধান প্রধান সড়কটিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে যাত্রী এবং ক্রেতা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    * পার্ক সার্কাস: ৭-পয়েন্ট ক্রসিংয়ের আশেপাশের এলাকাটি একটি উল্লেখযোগ্য বাধা, জলাবদ্ধ রাস্তার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

    উত্তর কলকাতা:

    * উল্টোডাঙ্গা এবং শ্যামবাজার: এই অঞ্চলগুলিতেও জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে যানবাহন চলাচল ধীর হয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিদিনের যাত্রীদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে।

    * ঠনঠনিয়া : এমনকি উত্তর কলকাতায়ও, ঠনঠনিয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে রাস্তাগুলি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)