সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উপর বিপুল শুল্ক-বোঝা চাপিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুধু কাজে নয়, এই নিয়ে আকছারই দিল্লিকে একথা-সেকথা শুনিয়েও চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু লক্ষণীয়ভাবে গোটা বিতর্কে কার্যত নীরব ছিল ভারত। সরকারিভাবে কয়েকটি বিবৃতি জারি করে ‘পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে’ বার্তা দেওয়া ছাড়া ট্রাম্পের মতো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ওয়াশিংটনকে পালটা কোনও জবাব দেয়নি নয়াদিল্লি। স্থিতিশীলভাবেই পরিস্থিতি সামলেছে। কিন্তু কেন নয়াদিল্লির এই ‘সংযত’ অবস্থান, তা নিয়ে প্রশ্ন কম ওঠেনি। এবার তার জবাব দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
মরক্কোয় প্রবাসী ভারতীয়দের এক সভায় রাজনাথের মন্তব্য, “যাঁরা উদারমনা হন, মুক্তমনা হন, যাঁদের হৃদয় বড়, তাঁরা সব কিছুতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন না। আমরাও তাই করেছি। আমরা কোনও প্রতিক্রিয়া জানাইনি। যাঁরা বড় মনের হন, তাঁরা অত সহজে সব কিছুতে মন্তব্য করেন না।” ভারতের উপর আমেরিকার শুল্ক-বোঝা চাপানোর পর থেকে ধরলে, মোদি মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে রাজনাথই সেই প্রথম মন্ত্রী, যিনি এই নিয়ে মন্তব্য করলেন। ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমালোচনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভারতকে বিশ্বসেরা হতে কোনও শক্তি আটকাতে পারবে না।” নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ দেখে হজম করতে পারছেন না ‘সবকা বস’।”
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের অন্যায্য দাবির কাছে মাথানত না করায় বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়নি ভারত-আমেরিকার। তার উপর রুশ তেল কেনায় ভারতের উপর রীতিমতো দাদাগিরি শুরু করে আমেরিকা। চাপানো হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক। বাণিজ্যচুক্তির কোনও অগ্রগতি না-হলে শুল্ক নিয়ে ভারতের সঙ্গে কোনও আলোচনা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে মাঝে মধ্যে নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা বললেও আড়ালে ‘বন্ধু’ দেশগুলির কাছে ট্রাম্প অনুরোধ করছেন, যাতে ভারতের উপর যেন ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানো হয়। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন রাজনাথ।