সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসেছিলেন মা। কিছুক্ষণ পরে বিদ্যালয় থেকে ফোন। ছুটে গিয়ে দেখেন মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই মৃত্যু কোলে ঢোলে পড়ে সে।
নয়ড়ার একটি স্কুলে বছর ১০-এর এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য। সে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। প্রতিদিনের মতো চলতি মাসের ৫ তারিখ স্কুলে গিয়েছিল সে। তার মায়ের দাবি, সকালে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল মেয়ে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “আমি জানতে চাই এমনকী ঘটল যাতে আমার মেয়ের প্রাণ গেল? আমি সিসিটিভি ফুটেজ চাই।” মেয়ের বিষয়ে জানতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মৃতার মা। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছিল নয়ডার ওই স্কুলে?
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, স্কুলে আসার পর খেলছিল ওই পড়ুয়া। আচমকা সে পড়ে যায়। কিন্তু আর ওঠেনি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ।
পরপর স্বামী ও কন্যাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে ছাত্রীর মা। তিনি বলেন, “কী হয়েছে বুঝতে পারছি না। ও সকালে একেবারে ঠিক ছিল। বাড়ি থেকে শিক্ষকদের জন্য উপহারও নিয়ে বেরিয়েছিল। তারপর কী হল? হঠাৎ কী এমন হল যে ও মারা গেল? আমি জানতে চাই কী ঘটেছে। মেয়েকে কি সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের দেখানো হোক।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ছাত্রী অজ্ঞান হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তের জন্য ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারটি নিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সকলে সহযোগিতা করছি। মৃত্যুর সময় ছাত্রীর সঙ্গে থাকা সকলের বক্তব্য রেকর্ড করেছে পুলিশ।”