আরও বৃষ্টি কলকাতায়, চতুর্থীতে নতুন নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! ভয়ংকর পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
প্রতিদিন | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিরুফা খাতুন: এখনই কাটছে না দুর্যোগ! নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে কলকাতায়। আজ, মঙ্গলবার পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতেও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার (চতুর্থী) আরও একটি নিম্নচাপ দানা বাঁধবে বলে পূর্বাভাস।
আবহাওয়া দপ্তরের আঞ্চলিক অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বর্তমান নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ওড়িশা ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপটি এই এলাকাতেই অবস্থান করবে। তারপর দুর্বল হবে। তার জেরে উপকূলবর্তী জেলায় অতিভারী বৃষ্টি ও কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হবে। আগামিকাল পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে যে বৃষ্টি হয়েছে তা কি ক্লাউড ব্লাস্ট? আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে একেবারেই না। তাহলে এত বৃষ্টি কেন? নিম্নচাপের প্রভাবে পুঞ্জিভূত মেঘ থেকেই এই বৃষ্টি হয়েছে। ২৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই রকম বৃষ্টি হয়েছিল। সামগ্রিকভাবে এটি ষষ্ঠতম রেকর্ড বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
এই নিম্নচাপটি কেটে গেলেই, ২৫ তারিখ চতুর্থীর দিন আরও একটি নিম্নচাপ দানা বাঁধবে। উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় এই নিম্নচাপটি তৈরি হবে। তা ক্রমশ পশ্চিম দিকে এগোবে। শুক্রবার পঞ্চমীর দিন পশ্চিম মধ্য ও উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রভাব পড়বে দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। ষষ্ঠীর দিন এটি ওড়িশা ও অন্ধ উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
যার ফলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। শনিবার বাঁকুড়া, পূর্ব-পশ্চিম, মেদিনীপুর, হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বেশি হতে পারে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে।