বিধান নস্কর, বিধাননগর: দ্বিতীয়ায় জল থইথই শহর! সোমবার রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন অংশে জমে জল। এই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কিন্তু এদিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন ‘পুজোপ্রেমীরা’। বছর ঘুরে মা আসেন ঘরে। সেজে উঠেছে শহর। কিন্তু রাতভর বৃষ্টিতে বহু পুজো মণ্ডপের ভিতর কিংবা সামনে জল জমে গিয়েছে। মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের। তবে জমা জলেও বাড়ছে প্রতিমা দর্শনে দর্শণার্থীদের ভিড়। লেকটাউন শ্রীভূমিতে সেই ছবিই ধরা পড়ল।
রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো বলেই পরিচিত শ্রীভূমির পুজো। সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হওয়া পুজোর অন্যতম এই পুজো। মহালয়ার আগেই এই পুজোর দ্বারোদঘাটন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই সেখানে মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় বদলে গিয়েছে শহরের ছবিটা। অন্যান্য এলাকার মতো লেকটাউনের বিভিন্ন জায়গাতেও জল জমেছে। জল দাঁড়িয়েছে শ্রীভূমির পুজো মণ্ডপের সামনেও। তার মাঝেই কাউকে দেখা গেল একেবারে রেনকোট পরে ঠাকুর দেখতে, আবার কাউকে দেখা গেল জমা জলের বাইরে দাঁড়িয়েই ছবি তুলতে।
শুধু তাই নয়, একেবারে প্যান্ট গুটিয়ে জল পেরিয়ে বহু মানুষকেও পৌঁছতে দেখা গেল। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রানাঘাট থেকেও শ্রীভূমির ঠাকুর দেখতে এসেছেন সন্তোষী কুণ্ডু। তাঁর কথায়, ”উলটোডাঙা স্টেশন থেকে শ্রীভূমি পর্যন্ত হেঁটে ঠাকুর দেখতে এসেছি। এক অন্যরকম অনুভূতি।” তবে এভাবে জমা জলে ঠাকুর দেখা এবারই প্রথম বলে জানাচ্ছেন তিনি।
শুধু তিনিই নন, তাঁর মতোই এদিন অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে শ্রীভূমির ঠাকুর দেখতে এসেছেন। তা দেখে অনেকেই অবাক। যদিও দুর্যোগের আবহে প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি এগিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সোমবার থেকেই ছুটি পড়ছে সরকারি স্কুলে। এমনকী বেসরকারি সংস্থাগুলিতেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।