নিতাই সাহা, পুরুলিয়া: অযোধ্যা পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর অগণিত পর্যটকের ঢল নামে পুরুলিয়ায়। চলতি বছর পুজোর সময়েও তা চরমে উঠেছে। এবার জেলায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পা পড়তে চলেছে। তবে, থাকা খাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে হোম-স্টে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আবহে প্রায় ১০০ শতাংশ হোম-স্টের অগ্রিম বুকিং ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। হোম-স্টে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, পুজোয় পর্যটকদের মনোরঞ্জনে কোনও ত্রুটি রাখা হবে না। ঘরোয়া পরিবেশেই পর্যটকদের আপ্যায়ণ করা হবে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পুরুলিয়া জেলায় প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা হয়। এবছর পুজোতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক পুরুলিয়ার মাটিতে পা রাখতে চলেছেন। এই আবহে জেলার নানা প্রান্তের প্রতিটি হোম-স্টে বুকিং প্রায় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।
জেলার বাঘমুণ্ডি, বান্দোয়ান, ঝালদা-২ সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬০টি হোম-স্টে রয়েছে। বেসরকারিভাবে আরও বেশকিছু হোম-স্টে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পুজোর আবহে সেসব ইতিমধ্যে বুকড হয়ে গিয়েছে। হোম-স্টে কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, পুজোর মরশুমে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সব ধরনের বন্দোবস্ত ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে সবটাই হবে ঘরোয়া পরিবেশে। হোম-স্টেগুলির সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল আতিথেয়তা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কোনও পর্যটক নির্দিষ্ট হোম-স্টেতে পৌঁছলে শুরুতেই তাঁর গলায় গামছা দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। হোম-স্টে কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিয়ে থাকে। এবছর দেশি মুরগির ঝোল থেকে শুরু করে স্থানীয় রকমারি পদ পর্যটকদের পাতে তুলে দেওয়া হবে। সর্বোপরি পর্যটকদের ইচ্ছা অনুসারে ছৌ-নাচের বন্দোবস্তও করা হবে।
অযোগ্য পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হোম-স্টের কর্ণধার পাবক কুমার বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ১০টি ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘর অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য হোম-স্টেগুলিও ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গিয়েছে। এবার পুজোয় পর্যটকদের ব্যাপক ঢল নামতে চলেছে। পর্যটকদের আপ্যায়ণে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে আমরা সেদিকে নজর রাখছি। পর্যটকদের মনোরঞ্জনে প্রয়োজন অনুসারে ছৌ-নাচের আসর বসানো হবে। সেইসঙ্গে দিনভর ঘোরাঘুরি শেষে রাতে বারবিকিউয়ের বন্দোবস্তও করা হবে।