• ‘জল জমেছে’, গড়িয়া থেকে সিঁথি ১৫০০ টাকা! বুক করার পরও গরহাজির ক্যাব, চাই লাগামছাড়া ‘টিপস’
    বর্তমান | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে ট্রেনের এসি টু টিয়ারের টিকিট ভাড়া আনুমানিক ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। এই রাস্তার দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটারের মতো। আর মঙ্গলবার জল জমেছে বলে শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পৌঁছতে অ্যাপনির্ভর ক্যাব চেয়েছে ১৬০০ টাকা ভাড়া। এদিন সিঁথি থেকে জোকা পর্যন্ত যেতে এই ভাড়াই চেয়েছে ক্যাবগুলি। চোখ কপালে তোলার মতো হলেও এই টাকা দিতে বলা হয়েছে যাত্রীদের। এখানেই শেষ নয়, গড়িয়া থেকে সিঁথি পর্যন্ত ভাড়া চাওয়া হয়েছে ১৫০০ টাকা। এছাড়াও অভিযোগ, বুক করার পর ক্যাব দোরগোড়ায় আসছে যে তাও নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বুকিং নেওয়ার পর তা বাতিল করে দিয়েছেন ক্যাব চালকরা। কেউ কেউ ভাড়ার উপর অতিরিক্ত ৫০০ টাকা টিপস চেয়েছেন। 

    বাড়ির সামনে জলমগ্ন পরিস্থিতি দেখে, অনেকেরই অফিস যাওয়া মঙ্গলবার মাথায় উঠেছিল। নিজের গাড়ি বা বাইক বাড়িতে রেখে তাঁরা অ্যাপনির্ভর ক্যাব বা বাইকের উপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু তাতে কার্যত জল ঢেলে দেয় সার্জ। সিঁথি মোড় থেকে জোকার দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে, সিঁথি থেকে গড়িয়া পর্যন্ত দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। কলকাতা পুরসভার এলাকা অনুযায়ী, এই দু’টি স্ট্রেচ শহরের মধ্যে থাকা লম্বা রাস্তা। এই দুই প্রান্ত যাতায়াতে সবথেকে বেশি টাকা হেঁকেছে অ্যাপনির্ভর ক্যাব। ২৪ কিলোমিটারের জন্য ১৬০০ টাকা চেয়েছে। অর্থাৎ, এদিন প্রতি কিলোমিটার পেরনোর খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা। এই ভাড়া মাত্রাতিরিক্ত বলে দাবি যাত্রীদের। 

    শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ই এম বাইপাস মেট্রোপলিটন মোড় যাওয়ার জন্য ক্যাব খুঁজছিলেন এক তরুণী। সোনিকা শর্মা নামে ওই তরুণী বলেন, ‘অ্যাপ খুলে দেখি পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ক্যাবের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৭০০ টাকা। হাতে অনেক ব্যাগ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়াতেই ক্যাব বুক করি। কিন্তু বুকিং নেওয়ার পর গন্তব্যস্থল জেনে একাধিক চালক রাইড বাতিল করেন। একজন আসতে চান। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০০ টাকা দাবি করেন।’ অগত্যা অটো ধরার কথা ভাবেন সোনিকাদেবী। কিন্তু জল থাকার কারণে এদিন সকাল থেকে ধাপা, মাঠপুকুর, মেট্রোপলিটন, বৈশালী সহ একাধিক রুটে অটো চলাচল বন্ধ ছিল। বৃষ্টি ও জলমগ্ন পরিস্থিতিতে ক্যাবের এই অত্যধিক সার্জ প্রসঙ্গে সংস্থাগুলির যুক্তি, ‘আমরা অপারগ। বৃষ্টিতে জল ঢুকে গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। বেশিরভাগ জায়গায় গাড়ির রেডিয়েটর, ইঞ্জিনে জল ঢুকে গিয়েছে। বহু চালক এদিন গাড়ি চালাতেও চাননি। তার জেরে অনেক কম সংখ্যক গাড়ি নিয়ে পরিষেবা চালাতে হয়েছে এদিন।’
  • Link to this news (বর্তমান)