• এই দুর্যোগের আভাস পর্যন্ত ছিল না: মমতা
    বর্তমান | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাত ১২টা থেকে ঘণ্টা ছয়েক বৃষ্টি। আর তাতেই স্তব্ধ হয়ে গেল গোটা মহানগর। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ন’জনের। বর্ষণের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু এমন দুর্যোগ! সেই আভাস এতটুকুও পায়নি কলকাতা ও শহরতলি। পুজোর মুখে বিপর্যয়ে সেই অসন্তোষের সুরই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি জানালেন, ‘এই পরিমাণ বৃষ্টি হবে, তা আবহাওয়া দফতর জানায়নি। এর কোনও পূর্বাভাস ছিল না। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল মানুষের সুরক্ষা। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’ তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা সব পার্শ্ববর্তী এলাকায় সিইএসসিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘সিইএসসিকে একাধিকবার কলকাতায় বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে বলা হয়েছে। তারা কাজ করে না। শুধু পুজো নয়, সব সময় তাদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। শুধুই কি তারা ব্যবসা করবে? এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালায় না। দায়িত্ব সিইএসসিকেই নিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব তারা লোক নামাক। রাজস্থানে আধুনিকীকরণ করছে, আর এখানে বারবার বলা স্বত্ত্বেও কিছু করছে না।’ সিইএসসি কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকেও এদিন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে সিইএসসি’র পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বলেও সরব হয়েছেন মমতা। তাঁর নির্দেশে এদিন টানা নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা সচিব রাজেশ সিনহা।

    তবে সিইএসসি’র তরফে সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আটজনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে তাঁদের বাড়ি বা কারখানায় ওয়্যারিং খারাপ থাকার জন্য। দু’টি দুর্ঘটনা স্ট্রিট লাইট পোস্ট (যা সিইএসসি’র অধীনে থাকে না) ছোঁয়ার কারণে। আর একটি ক্ষেত্রে ট্রাফিক সিগন্যালের কিয়স্ক স্পর্শ করায়। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে সিইএসসির বিস্তীর্ণ এলাকা জলের নীচে থাকায়, সুরক্ষার কারণে বিদুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যেখানে যেমন জল নেমেছে, সেখানে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ জায়গায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’ তা সত্ত্বেও কর্মীদের সজাগ থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (বর্তমান)