কয়েক দশক পরে সাফাইকর্মীদের শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্যোগী হল হাওড়া পুরসভা। যে সমস্ত সাফাইকর্মী ভূগর্ভস্থ নর্দমায় নেমে কাজ করেন, তাঁদের শারীরিক নিরাপত্তার জন্য ইমার্জেন্সি কিট দেওয়া হয়েছে। সোমবার হাওড়া পুরসভা এমন ২১৫ জন সাফাইকর্মীকে এই কিট দেয়। এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের রঙিন পোশাক, চশমা, হেলমেট, দস্তানা, গামবুট, মাস্ক। এ দিন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের উপস্থিতিতে তা সাফাইকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কোনও ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই সাফাইকর্মীদের ভূগর্ভস্থ নর্দমায় নামানো নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুরসভাকে এ বিষয়ে এত দিন উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। পুর চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘স্থায়ী বা অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা বড় বড় নর্দমা ও ম্যানহোলে নেমে কাজ করেন। তাঁদের শারীরিক নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই কিট দেওয়া হল।’’ পুর চেয়ারপার্সন জানান, সাফাইকর্মীরা যাতে এই পোশাক ও সরঞ্জাম ব্যবহার করেন, তা নিশ্চিত করতে কয়েক জন পদস্থ আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা এই পোশাক ও সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
অন্য দিকে, এ দিনই দৈনিক মজুরিতে কাজ করা হাওড়া পুরসভার প্রায় ১১০০ জন সাফাইকর্মীর বকেয়া মজুরির টাকা (জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত) দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এ জন্য হাওড়া পুরসভার তহবিল থেকেই খরচ করা হবে। পুর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘হাওড়া পুরসভা চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে গেলেও পুরসভার ১৫০০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বেতন ৫০০ টাকা করে বাড়ানো হল। এ জন্য হাওড়া পুরসভা প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’’