শহর তখন জলমগ্ন। হাসপাতালও জল থই থই। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে প্রথম রোবটিক অস্ত্রোপচার হল এসএসকেএমে। প্রশাসন সূত্রের খবর, পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতে এই প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে রোবটিক সার্জারি হল।
সূত্রের খবর, শল্য ও স্ত্রী রোগ বিভাগের দুই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। দুই বিভাগ মিলিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছ'জন ডাক্তার অংশ নেন। জানা যাচ্ছে, ৪৫ বছরের ওই রোগীর গলব্লাডারে পাথর জমে। গলব্লাডারের দেওয়াল মারাত্মক মোটা হয়েছিল। রোবটের মাধ্যমে চারটি ফুটো করে ৩৫ মিনিটে ওই অস্ত্রোপচার করেন শল্য বিভাগের শিক্ষক চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, সিরাজ আহমেদ, রুদ্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই রোগী এখন সুস্থ রয়েছেন।
স্ত্রী রোগ বিভাগের ৪৬ বছরের রোগীরও এ দিন জরায়ু বাদ দেওয়া হয় ঘণ্টাখানেকের রোবটিক সার্জারিতে। তিনিও ভাল আছেন। বেসরকারিতে কয়েক লক্ষ টাকার অস্ত্রোপচার নিখরচায় হয় এসএসকেএমে। জটিল অস্ত্রোপচারের রোগীর তালিকা করে একটি কমিটি গড়া হয়েছে হাসপাতালে। সেই মতো পর পর রোবটিক সার্জারি হবে বলে সূত্রের খবর। আজ, বুধবার ইউরোলজি বিভাগের এক রোগীর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।
এসএসকেএমের মেন বিল্ডিংয়ের উল্টে দিকে নতুন বহির্বিভাগে তৈরি হয়েছে রোবটিক সার্জারির অপারেশন থিয়েটার। গত অগস্টে কেমব্রিজ থেকে রোবট আসে এসএসকেএমে। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।
এ দিন অস্ত্রোপচারের সময়ে রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থার তিন জন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। কোনও সমস্যা হলে সামাল দিতে কেমব্রিজে চিকিৎসকও এ দিন প্রস্তুত ছিলেন। যদিও এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা নিজেরাই পুরো অস্ত্রোপচার করেন।