এসএসকেএমে গলব্লাডার অস্ত্রোপচার করল রোবট! পূর্ব ভারতের সরকারি হাসপাতালে এই প্রথম
প্রতিদিন | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলা আজ যা ভাবে। দেশ তা ভাবে আগামী কাল। ফের একবার তা প্রমাণ করল বঙ্গ। সম্প্রতি এসএসকেএমে নিঁখুত অস্ত্রোপচার করার জন্য অত্যাধুনিক রোবট উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলাকীর্ণ শহরে অস্ত্রোপচার করল সেই যন্ত্রমানব। প্রথম রোবটিক অস্ত্রোপচার হল এসএসকেএমে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে এই প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে রোবটিক সার্জারি চালু হল। হাসপাত সূত্রে খবর, শল্য ও স্ত্রী রোগ বিভাগের দুই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। দুই বিভাগ মিলিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছ’জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে ছিলেন। জানা যাচ্ছে, শল্যবিভাগের ৪৫ বছরের ওই রোগীর গলব্লাডারে স্টোন হয়েছিল। গলব্লাডারের দেওয়াল মারাত্মক মোটা হয়ে গিয়েছিল। রোবটের মাধ্যমে চারটি ফুটো করে ৩৫ মিনিটে ওই অস্ত্রোপচার করেন শল্য বিভাগের শিক্ষক চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, সিরাজ আহমেদ, রুদ্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ওই বাসিন্দা এখন সুস্থ রয়েছেন। শল্য বিভাগের পরে স্ত্রী রোগ বিভাগের ৪৬ বছরের রোগীর জরায়ু বাদ দেওয়া হয় রোবটিক সার্জারির দ্বারা। সময় লেগেছে প্রায় এক ঘন্টা। অস্ত্রোপচারের পর ওই রোগী সুস্থও আছেন। জানা গিয়েছে, বেসরকারি কোনও হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার দুটি করতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হত। কিন্তু এই অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হল এসএসকেএমে। খুশি রোগীর পরিবারের সদস্যরাও।
অতি সম্প্রতি চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতিকরণে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিল্যানাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হল নতুন উডবার্ন ওয়ার্ড। এছাড়াও রোবটিক সার্জারি থেকে ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি ও অত্যাধুনিক মেশিন ক্রয় মিলিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নতুন উডবার্ন ওয়ার্ডটির ১০ তলা ভবনে ১৩১টি কেবিন রয়েছে। অত্যাধুনিক পরিষেবা মিলবে এই ওয়ার্ডে। সিঙ্গল কেবিনের ভাড়া ৫ হাজার। এইচডিইউ (HDU) কেবিনের ভাড়া ১২ হাজার টাকা। আইটিইউ (ITU) কেবিনের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা।” তাঁর কথায়, “বেসরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়। এখানে অনেকটাই কম। আমি নিজে ২ হাজার টাকা করে ভাড়া কমিয়েছি। এখন হাসপাতালের খরচ উঠবে না জানি। প্রথমে লোকসানেই চলবে।”