প্রেমিকার সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, ভিডিও তুলে দেখিয়েছিল বন্ধুদের, টানা পাঁচ মাস সাতজন মিলে গণধর্ষণ করল কিশোরীকে
আজকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমিক ও তার বন্ধুদের যৌন লালসার শিকার ১৭ বছরের এক কিশোরী। লাগাতর গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সে। অবশেষে গর্ভবতীও হয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন হেনস্থার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরেই থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে কিশোরী। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার কল্যাণে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরী গত পাঁচ মাস ধরে টানা ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একদল তরুণের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বয়স ২০ বছরের আশেপাশে। গণধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে তারা।
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, সম্প্রতি নির্যাতিতা কিশোরীর কিছু অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। যা পরিবারের চোখে পড়ে। তখনই গণধর্ষণের বিষয়ে জানতে পারে তারা। নির্যাতিতা সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ইনস্টাগ্রামে এক তরুণের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। ক্রমেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নির্যাতিতা জানিয়েছে, তার অনুমতি না নিয়েই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তুলত ওই তরুণ। একাধিকবার যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার সময়েও ভিডিও তুলেছিল। এরপর সেই ভিডিওগুলি নিজের ছয় বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ভিওয়ান্দি ও মুরবাদ এলাকার ধনী পরিবারের সন্তান এই ছয় অভিযুক্ত তরুণ।
কিশোরীর প্রেমিকের এই ছয় বন্ধুই তার যৌনতায় লিপ্ত হতে জোরাজুরি করতে শুরু করে। সঙ্গমে লিপ্ত না হলেই ব্ল্যাকমেল করা হত তাকে। এমনকী প্রেমিকের সঙ্গে কিশোরীর যৌনতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল। এরপরই কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করতে শুরু করে প্রেমিকের ছয় বন্ধু। টানা পাঁচ মাসে সাতজন মিলে ধর্ষণ করে তাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরেই পরিবারকে গণধর্ষণের শিকারের ঘটনাটি জানায় কিশোরী। এরপর থানায় পৌঁছেই তারা গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেডিক্যাল টেস্টে জানা গেছে, কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই যোগীরাজ্যে আবারও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এবার নির্যাতনের শিকার এক নাবালিকা। ঘটনাটির মূল অভিযোগ উঠেছে নাবালিকার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। পছন্দের জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল তরুণ। সেখানেই নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করে সে।
বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় অভিযুক্ত তরুণের আরও দুই বন্ধু। প্রথমে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করে তারা। এরপর বন্ধুর সামনেই তার নাবালিকা প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করে বাকিরা। ঘটনাটি লুকিয়ে রাখার জন্য ভিডিও তুলে রাখা তারা। সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল তারা। যদিও শেষরক্ষা আর হয়নি। বর্তমানে পুলিশের জালে অভিযুক্ত প্রেমিকের দুই বন্ধু। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল মহারাজপুর এলাকায়। এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে দু'জনকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর রয়েছে। তাঁকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। চতুর্থ অভিযুক্ত যুবক এখনও পর্যন্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
গত সোমবার থানায় পৌঁছে গণধর্ষণের অভিযোগটি জানায় খোদ নির্যাতিতা নাবালিকা। সে জানায়, আসল ঘটনাটি ঘটেছিল ২৬ জুলাই। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ গুপ্ত জানিয়েছেন, ঘটনার দিন নাবালিকা তার প্রেমিকের সঙ্গে ছিল। প্রেমিকের নাম, মহেশ। ১৯ বছরের তরুণ ফতেহপুর জেলার বাসিন্দা। জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মহারাজপুরের একটি নির্জন এলাকায় নাবালিকাকে নিয়ে গিয়েছিল মহেশ। সেখানেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক।
সেই সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশের আরও দুই বন্ধু। একজন ১৫ বছরের কিশোর ও আরেকজন ১৯ বছরের লাকি। সেই ঘটনার ভিডিও তোলে দুই বন্ধু। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এই ভিডিওটি নিয়ে তারা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে পারবে। নাবালিকার থেকে সাত হাজার টাকা চেয়েছিল তারা। কিন্তু যৌন নির্যাতনের পর নাবালিকা হাত জোড় করে জানায়, তার কাছে এক টাকাও নেই। সে ওই টাকা দিতে অপারগ।
অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার অভিষেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, সেই রাতেই মহেশের আরও দুই বন্ধু নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে। তখনই এলাকাটি ছেড়ে পালিয়ে যায় নাবালিকার প্রেমিকা। সেই সময় নাকের দুলটি দিয়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কেউ। নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তারা।
রাতে নির্জন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা একাই ছিল নাবালিকা। অবশেষে এক অভিযুক্ত তাকে বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। গত সোমবার নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রাইম ব্রাঞ্চকে নিয়ে মহারাজপুর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মহেশের দুই বন্ধুকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯ বছরের তরুণকে জেল হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ১৫ বছরের কিশোরকে।
মহেশের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। গণধর্ষণের অভিযোগটি তারপরেই প্রমাণিত হবে। রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।