• ‘আমার ঘরে এসো…’, প্রকাশ্যে তরুণীদের পাঠানো চৈতন্যানন্দের অশ্লীল হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ
    প্রতিদিন | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রীদের অশ্লীল মেসেজ পাঠানো, এমনকী তাঁদের অশালীন ভাবে স্পর্শ করার মতো সাংঘাতিক অভিযোগ উঠেছে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টে নামে এক আশ্রমের পরিচালক স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে। তবে পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তরুণীদের পাঠানো অভিযুক্তের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ প্রকাশ্যে এসেছে।

    শারদা ইনস্টিটিউটের মোট ৫০ জন তরুণীর ফোন পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। তারপরই উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। এক তরুণীকে পাঠানো মেসেজে চৈতন্যানন্দ লেখে, ‘আমার ঘরে এসো। তোমার জীবন পালটে দেব। তোমাকে বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যাব। একপয়সা লাগবে না।’ আবার অন্য একটি মেসেজে অভিযুক্ত হুমকি দিয়ে এক তরুণীকে লেখে, ‘যদি তুমি আমার কথা না শোনো, তাহলে পরীক্ষায় তুমি অনুত্তীর্ণ হবে।’ শুধু তাই নয়, মেসেজে তিনি দরিদ্র তরুণীদের আর্থিক উন্নতির প্রতিশ্রুতিও দিতেন বলে জানা গিয়েছে।

    চৈতন্যানন্দ ওরফে পার্থসারথীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রথম হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেবার তাঁর বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপ এবং প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে। পরে ২০১৬ সালেও এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিল। এবার ফের অভিযোগ, এবং তা অনেক বড় আকারে। পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর ভলভো গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, গাড়িতে নকল নম্বর প্লেট লাগানো ছিল।

    আশ্রমের পক্ষে পেশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী, যিনি স্বামী পার্থসারথী নামেও পরিচিত, তিনি এমন কিছু কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন যা বেআইনি, অনুচিত। আর সেই কারণেই পীঠের তরফে তাঁর সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।’
  • Link to this news (প্রতিদিন)