অর্ণব দাস, বারাসত: টেট পাশ করার পরও এত বছর ধরে চাকরির অপেক্ষায় বসে। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পুজোর মুখে পথে আন্দোলনে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। বুধবার দুপুরে বারাসতের যশোর রোডে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁদের একটা বড় অংশ। এই বিক্ষোভের মাঝে আটকে পড়লেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। বেশ কিছুক্ষণ যশোর রোডে তাঁদের গাড়ি আটকে থাকে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দুই জনপ্রতিনিধিকে নিরাপদ রাস্তা করে দেন বেরনোর জন্য। যদিও এভাবে টেট-বিক্ষোভে আটকে পড়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সৌগত রায় বা নির্মল ঘোষ কেউই।
২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণদের দাবি ঠিক কী? জানা যাচ্ছে, প্যানেলে নাম থাকলেও এখনও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। তিন বছর ধরে চাকরিতে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, খুব দ্রুত তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও তা হয়নি। এর মধ্যে আবার বুধেই ২০২৩ সালের টেটের ফলপ্রকাশ হয়েছে। এরপর ২০২৩ সালে উত্তীর্ণদেরও নিয়োগের বিষয় রয়েছে। এখনও যদি পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা কাজে যোগ দিতে না পারেন, তাহলে চাপ আরও বাড়বে। তাই বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুজোর আগেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। এই দাবি নিয়ে বুধবার বারাসত স্টেশন থেকে তাঁরা মিছিল করে যশোর রোড পর্যন্ত যান। সেখানে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিশাল জমায়েতে আটকে পড়ে সমস্ত গাড়ি।
বুধবার বারাসতের রবীন্দ্রভবনে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই কারণে তাঁর কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করার লক্ষ্যে একই সময় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামেন টেট পরীক্ষার্থীরা। একই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বারাসত যাচ্ছিলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ। টেট বিক্ষোভের মাঝে তাঁদের গাড়ি আটকে পড়ে। প্রায় আধঘণ্টা ধরে বিক্ষোভের মাঝে তাঁরা আটকে ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দাবিদাওয়া জানাতে থাকেন দুই জনপ্রতিনিধির কাছে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। ঘণ্টাখানেক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত ছিল। পরে সৌগত রায় ও নির্মল ঘোষকে সাবধানে ওই ভিড়ের মধ্যে থেকে বের করে আনে পুলিশ।