গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের নিরাপত্তায় আরও জোর দিতে ও সামাজিক সুরক্ষা বাড়াতে উদ্যোগী বসিরহাট পুলিশ জেলা। পুজোর আগেই বসিরহাটের সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, বসিরহাট ও হাসনাবাদ-সহ সন্দেশখালি, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের মত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। সেগুলিকে কন্ট্রোল করার জন্য বসিরহাট থানার সংলগ্ন এলাকায় উদ্বোধন হল ইন্টিগ্রেটেড ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোল রুমের। সেখানে বড় বড় স্ক্রিনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি থানার গুরুত্বপূর্ণ বাজার, মোড় বা রাস্তাগুলিকে সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
অন্যদিকে সেই এলাকার সমস্ত লাইভ ফিড মিলবে এই ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুমে। এদিন এই কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করেন বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেন মেহেদী রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) দুর্বার বন্দোপাধ্যায়-সহ একাধিক এসডিপিও ও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকরা। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেন মেহেদী রহমান বলেন, “বসিরহাট পুলিশ জেলার ১১টি থানা এলাকায় মোট ৫৫০টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। মনিটরিংয়ের জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেখান থেকে আমরা লাইভ ফিড পাব। ফলে যে কোনও ধরনের অপরাধকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।”
পুজোর সময়ে নিরাপত্তা, নজরদারির চাপ থাকে প্রশাসনের উপর। শুধু তাই নয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা হওয়ায় আঁটসাঁট নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়। সিসিটিভিতে এলাকা মুড়ে ফেলা, সুন্দরবন এলাকায় অপরাধ দমনে বড় পদক্ষেপ। এমনই জানাচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।