নয়াদিল্লি: একবার আমার ঘরে এসো...তোমায় সব সুবিধা দেব। বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যাব। কোনও টাকা দিতে হবে না। এভাবেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাতেন। বার্তা বদলে যেত। তবে লক্ষ্য একটাই। আশ্রমের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি। এভাবে প্রায় ১৭ জন ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল দিল্লির এক ‘স্বঘোষিত’ বাবার বিরুদ্ধে। নাম স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী। পলাতক বাবাকে পাকড়াও করতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। গেরুয়া বসন। টাক মাথায় লম্বা তিলক। এই বেশভূষার আড়ালে চৈতন্যানন্দের আসল চেহারা অবশেষে বেরিয়ে এল। নির্যাতিতাদের অভিযোগ, অশ্লীল ভাষায় এবং কদর্য ইঙ্গিত করে ফোনে মেসেজ পাঠাতেন গুরুজি। শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যও জোর করতেন। দিল্লির একটি নামি আশ্রমের দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি শ্রীসারদা ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের অন্যতম মাথাও ছিলেন তিনি। সেইসূত্রে ছাত্রীদের নম্বর পাইয়ে দেওয়া সহ নানা টোপ দিয়ে কাছে ডাকতেন। ঘটনার তদন্তে নেমে ভুয়ো দূতাবাসের নম্বরপ্লেট লাগানো একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই গাড়িই ব্যবহার করতেন অভিযুক্ত বাবা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আশ্রমের আরও কয়েকজন এই কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা গুরুজির দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ছাত্রীদের উপর চাপ দিতেন। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। গত ১৬ বছর ধরে নানাভাবে মহিলাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু।