নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্প যাই বলুন, তাঁর প্রশাসন যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে, তার আভাস ইতিমধ্যেই মিলেছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আলোচনায় স্বয়ং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের আমেরিকা যাওয়া তারই ইঙ্গিত। মার্কিন বাণিজ্য দফতর সবুজ সংকেত দিয়েছে বলেই তিনি সেখানে গিয়েছেন। বুধবার এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনাও হয়েছে। অপ্রচলিত বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ভারত ও আমেরিকার স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্কের এক অনুষ্ঠানেও ছিলেন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সেখানে এইচ-১বি ভিসা ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ভারতের ইঞ্জিনিয়ার কিংবা অন্য সেক্টরের প্রতিভারাই কিন্তু বহু বছর ধরে আমেরিকা সহ বহু দেশের উন্নতির কারিগর। আসলে পীযূষ গোয়েল বার্তা দিতে চাইলেন যে, আমেরিকা যদি ভারতীয় কর্মীদের টার্গেট করে, তাহলে সেটা ভুল হবে। তবে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক যে সম্পূর্ণ অবনতির পথে গিয়েছে এমন নয়। সেই ইঙ্গিতও রয়েছে পীযূষ গোয়েলের কথায়। তিনি বলেছেন, পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সম্প্রসারণে দু’দেশ হাত ধরে এগিয়ে চলছে। আগামী দিনে পরমাণু বিদ্যুৎ এবং অপ্রচলিত বিদ্যুৎ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের একঝাঁক নতুন চুক্তি হবে। এই দুই দেশ পরস্পরের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, বাণিজ্য নিয়ে যদি কেউ যুদ্ধ করতে চায়, তাহলে সেটা ভারত মেনে নেবে না। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের শেষেই ভারতের প্রতিনিধিদল ফিরে আসবে। বাণিজ্য চুক্তি ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমনকী এই বাণিজ্য চুক্তি যদি স্বাক্ষরিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে আসতেও আগ্রহী। বস্তুত সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে ভারত, চীন, রাশিয়ার অক্ষ নির্মাণের একটি আভাস পাওয়া গিয়েছে। আর সেই কারণেই অঘোষিতভাবে চীন বিরোধী রাষ্ট্রগোষ্ঠীর মঞ্চ কোয়াডে যাতে ভারত সক্রিয় সদস্য থাকে, সেই চেষ্টায় মরিয়া হয়েছে আমেরিকা। ভারতে এই বছরের শেষে হবে কোয়াড সম্মেলন। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা,জাপান ও ভারত এই গোষ্ঠীর সদস্য। তার আগেই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হোক চাইছে আমেরিকা ও ভারত উভয় পক্ষই।