• প্রয়াত জুবিন গর্গের নামে রাসমেলার মঞ্চ, সিদ্ধান্ত কোচবিহার পুরসভার
    বর্তমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা এবার ২১৪ বছরে পড়বে। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের রাসমেলা। আর অসমের এই সদ্য প্রয়াত সংগীত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাসমেলার মূল মঞ্চের নামকরণ করা হবে জুবিন গর্গ মঞ্চ। শুধু তাঁর নামে মঞ্চ উৎসর্গ করাই নয়, প্রয়াত জুবিন গর্গের পরিবারের সম্মতি পেলে কোচবিহারে বসানো হবে তাঁর মূর্তি। 

    অসমের বাসিন্দা জুবিনের মৃত্যুর পর গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত তাঁকে সম্মান জানিয়েছে। সেই আবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং জুবিনের কোচবিহারে একাধিকবার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার স্মৃতিকে ধরে রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোচবিহার পুরসভা। 

    এদিকে, পুজোর সময় নাগরিক পরিষেবা সঠিকভাবে চালু রাখতে টানা ১২ দিন খোলা থাকবে কোচবিহার পুরসভার অফিস। সাফাই, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সহ সমস্ত জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে পুজোয়। পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা ছুটির দিনগুলিতেও অফিসে বসবেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দুই বিষয় পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুজোর ক’দিন ডিউটি করলে মিলবে দৈনিক ১৫০ টাকা করে ভাতা। 

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান এদিন বলেন, সরকারি ছুটি থাকলেও  দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে আমাদের পুরসভা অফিস খোলা থাকবে। আধিকারিক, আমরা, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সর্বস্তরের কর্মীরা পুরসভায় আসবেন। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার মাঠে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী জুবিন গর্গ গান করে গিয়েছেন। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের গর্ব। তাই রাসমেলার মঞ্চ এবার তাঁর নামে উৎসর্গ করার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁর একটি মূর্তি বসানোর জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে অসমে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সম্মতি মিললে বসানো হবে জুবিন গর্গের মূর্তি। 

    কোচবিহার পুরসভা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি। কিন্তু সেই সময়েও পুরসভার প্রায় সব বিভাগই খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে জঞ্জাল অপসারণের কাজ থেকে শুরু করে পানীয় জল, আলো, স্বাস্থ্য সহ সমস্ত জরুরি পরিষেবা পুজোর দিনগুলিতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। ওই সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরসভার কিছু কালেকশন হয়। তারজন্য পুরসভার ক্যাশ বিভাগও খোলা থাকবে। 

    এদিকে, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থায়ী ও অস্থায়ী যেসব কর্মী ছুটির সময় উপস্থিত থাকবেন তাঁদের দৈনিক ১৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই শহরে দুই বেলা সাফাই কাজ চলছে। কিন্তু পুজোর সময় সেই বর্জ্য আরও বেশি হয়। সেসব যাতে জমে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। বিসর্জনের ঘাট প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)