• দুর্গাপুজোর মুখে জলপাইগুড়ির বাজারে এসেছে পদ্মার ইলিশ, ২ হাজারে বিকোচ্ছে মাছের রাজা
    বর্তমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: দুর্গাপুজোর মুখে জলপাইগুড়ির বাজারে মিলছে পদ্মার ইলিশ! দীর্ঘদিন পর ওপার বাংলার ইলিশের দেখা পেয়ে সেই ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের মধ্যে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশের ইলিশের দাম বেশ ভালোই। জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার, স্টেশন বাজার সহ বিভিন্ন মার্কেটে এক কেজি থেকে ১ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের ওপার বাংলার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা থেকে ২২০০ টাকা কেজি দরে। তবে বাংলাদেশের ইলিশের পাশাপাশি জলপাইগুড়ির বাজারে এসেছে মায়ানমারের ইলিশও। সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে ডায়মন্ডহারবার ও দীঘার ইলিশ মাছ। 

    কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মাছ বাজার মুম্বইয়ের ইলিশে ছেয়ে গিয়েছিল। আড়তদাররা বলছেন, বাজারে অন্যান্য জায়গার ইলিশ থাকলেও বাংলাদেশের ইলিশ আসার পরই চাঙ্গা হয়েছে মাছের বাজার। যদিও ক্রেতাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীদের অনেকে মায়ানমারের ইলিশকে বাংলাদেশের বলে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছেন। ফলে ইলিশ না চিনলে দাম দিয়ে কেনার পর ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। কারণ সকলের পক্ষেই পদ্মার ইলিশ চেনা মুশকিল। 

    জলপাইগুড়ি দিনবাজারের পাইকারি ফিশ মার্কেটের আড়তদার শ্যাম সোনকার বুধবার বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকেছে জলপাইগুড়িতে। দুর্গাপুজোর মুখে ওপার বাংলার সুস্বাদু ইলিশ ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরাও খুশি। এখন আমাদের মার্কেটে বাংলাদেশের ইলিশের সাইজ এক কেজি থেকে ১ কেজি ২৫০ গ্রামের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। দাম দুই হাজার থেকে বাইশশো টাকার মধ্যে। দিনবাজার ফিশ মার্কেটের আরএক আড়তদার অশোক শা বলেন, ওপার বাংলার পদ্মার ইলিশ অকশনেই কিনতে হচ্ছে ২০০০ টাকা কেজি দরে। ফলে ক্রেতাদের হাতে ওই মাছ তুলে দিতে গিয়ে একটু দাম বেশিই পড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া যে উপায় নেই। আবার কেউ কেউ মায়ানমারের ইলিশকে বাংলাদেশের বলে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা ওই ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। ক্রেতাদেরও বলছি, ইলিশ কেনার সময় ভালোভাবে যাচাই করে নেবেন। যাতে পদ্মার ইলিশ ভেবে মায়ানমার কিংবা ডায়মন্ডহারবারের ইলিশ কিনে ঠকে না যান। 

    পদ্মার ইলিশ বাজারে আসতেই কিছুটা কি ফিকে বোরলির কদর? মাছ বিক্রেতারা অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা সারা বছরই কার্যত বোরলি খেয়ে থাকেন। ফলে তাঁরা এখন পদ্মার ইলিশের দিকে ঝুঁকলেও ডুয়ার্সের হোটেল, রিসর্টগুলিতে বোরলির দারুণ চাহিদা রয়েছে। পর্যটকদের পাতে তিস্তার রূপালি শস্য তুলে দিতে চেষ্টার কসুর করছেন না হোটেল ব্যবসায়ীরা। ইলিশও কেউ কেউ মেনুতে রাখছেন। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)