উপাচার্যের নাম ঘোষণা হল না, মেয়াদ বাড়ল রেজিস্ট্রারের
বর্তমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, মালদহ: অবশেষে কিছুটা হলেও প্রশাসনিক সঙ্কট কাটল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের। নতুন উপাচার্যের নাম এখনও ঘোষণা না হলেও রেজিস্ট্রারহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বজিৎ দাস সহ চার জন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। পরবর্তী নির্দেশ অথবা তাঁদের অবসর কিংবা ওই পদে স্থায়ী আধিকারিক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই আধিকারিকরাই তাঁদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৬ আগস্ট তাঁরই নিয়োগ করা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন ডিন বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু ২২ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট সব মহলকে জানিয়ে দেন। ফলে অভাবনীয় প্রশাসনিক ও পঠনপাঠন সংক্রান্ত শূন্যতা তৈরি হয়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ইঞ্জিনিয়ার এবং নিরাপত্তা আধিকারিকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রাজীব পতিতুণ্ডি, জাহির হোসেন এবং রবীন্দ্রনাথ কর্মকারের মেয়াদ ফুরানোর কথা ছিল ১৯ অক্টোবর। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ দাসের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের উপসচিব জানান তিনি পরবর্তী নির্দেশ অথবা স্থায়ী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন। বাকি তিন জনের অতিরিক্ত দায়িত্বের মেয়াদও ২০ অক্টোবর থেকেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিত্ত আধিকারিক জাহির হোসেনের দায়িত্বের মেয়াদ উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত তিনি নিজের এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আমার আগের মেয়াদ ফুরিয়েছিল। নতুন করে উচ্চশিক্ষা দপ্তর যে নির্দেশ পাঠিয়েছে তা মেনেই রেজিস্ট্রারের কাজ যথাসম্ভব দায়িত্বের সঙ্গে চালিয়ে যাব। বিশ্বজিৎ দাস।