• বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ, নজর কাড়তে তৈরি চৈতন্যপুর নিউস্টার
    বর্তমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: মণ্ডপ নয় যেন এক প্রার্থনাগৃহ। উৎসবের কোলাহলের মধ্যেও কয়েক মুহূর্তের জন্য শান্তি অনুভব করবেন দর্শনার্থীরা। মৃদু আলো, বাঁশির সুর ও সঙ্গীতে বৌদ্ধ উপাসনালয়ের আবহ তৈরি হয়েছে। দেবী দর্শনের পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে দু’দণ্ড চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করার আকুতি তৈরি হবে। মণ্ডপজুড়ে প্রদীপ হাতে ধ্যানমুদ্রায় পরীর দল। সর্বত্র শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশ। এবার ১৪তম বর্ষের পুজোয় গৌতম বুদ্ধের শান্তি ও আত্ম-অনুসন্ধানের পথ খোঁজার বার্তা দিয়েছে চৈতন্যপুর নিউস্টার ক্লাব। কাল্পনিক বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে এই মণ্ডপ দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দর্শনার্থীরা। এবছর নিউস্টারের পুজোর স্থান বদল হয়েছে। চৈতন্যপুর মোড়ে কুকড়াহাটি রোডে রাস্তার পাশে এবার তাদের মণ্ডপ ইতিমধ্যেই সবার নজর কেড়েছে। তমলুকের তরুণ শিল্পী রঞ্জিত বেরার ভাবনায় তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। বিশেষ ধরনের ফাইবার কেটে কারুশিল্পে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। মণ্ডপে আলোর ব্যবহারে নতুনত্ব আনতে এসি মেশিনের ফেলে দেওয়া পাইপ কাজে লাগানো হয়েছে। বৌদ্ধ স্তূপের আদল থাকলেও মণ্ডপ গঠনের ভাবনায় রয়েছে আধুনিক ছোঁয়া। মণ্ডপের সামনে বসানো বুদ্ধের ব্রোঞ্জের মূর্তি। মণ্ডপের মধ্যেই আবার তরুণ প্রজন্মের দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে সেলফি চক্র। তার ভিতর দিয়ে দেবী দুর্গা সহ সেলফি নেওয়া যাবে। মণ্ডপের সঙ্গে আবার প্রতিমার বৈপরীত্য রয়েছে। দেবী দুর্গা এখানে বাংলার আটপৌরে গৃহিণীর সাজে। প্রতিমা গড়েছেন স্থানীয় শিল্পী গৌরাঙ্গ শাসমল। পুজো কমিটির সভাপতি সুজিত প্রধান ও সম্পাদক সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, ১৪তম বর্ষে পুজোর বাজেট ২৫ লক্ষ টাকা। পুজোর পাশাপাশি একাধিক সমাজসেবামূলক কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। পুজোর খরচ বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য ১৫হাজার টাকার চেক জেলাশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পুজো কমিটির দুই কর্মকর্তা গৌতম হাজরা ও মহাদেব মাইতি বলেন, চতুর্থীর সকালে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর, রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রম ও হলদিয়া পেট্রকেমের যৌথ উদ্যোগে বড় আকারে বিনা ব্যয়ে স্বাস্থ্য, চক্ষু এবং দাঁতের পরীক্ষা শিবির হবে। ওই শিবির সূচনা করবেন সিএমওএইচ বিভাস রায়। সন্ধ্যায় পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন জেলাশাসক পুর্ণেন্দু মাজী। ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই শতাধিক মশারি এবং দুঃস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী বিলি, এলাকার প্রবীণ নাগরিক ও মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা প্রদান। পঞ্চমীর সকালে রক্তদান শিবির এবং সন্ধ্যায় নৃত্যানুষ্ঠান হবে। ষষ্ঠীর সকালে অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় থাকছে রঙিন নৃত্যানুষ্ঠান।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)