• কান্দিতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট পেতে দাখিল জাল জন্মপ্রমাণ
    বর্তমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: এসআইআর আতঙ্ক। তাই ডিজিট্যাল সার্টিফিকেট পেতে অনেকেই জন্মের জাল শংসাপত্র নিয়ে‌ হাজির হচ্ছেন হাসপাতালগুলিতে। গত কয়েকদিনে কান্দি মহকুমা এলাকার হাসপাতালগুলিতে এমনই একাধিক ঘটনা ঘটছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশি পদক্ষেপ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কান্দির এসডিপিও শাশ্রেক আম্বারদার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন। কান্দি মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমিক দাস বলেন, এমন ঘটনা বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালেও ঘটেছে। তবে ওনাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওনাদের পুরনো জন্মের প্রমাণপত্রের সঙ্গে ওই সময়ের শিশুর জন্মের অন্যান্য নথিও আনতে বলা হয়েছে। তবে আগামীতে এমন ঘটলে সরাসরি পুলিশকে জানান হবে।

    মঙ্গলবার এমন পরপর দু’টি ঘটনা ঘটে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন সেখানে স্থানীয় আমলাই পঞ্চায়েতের দুই মহিলা তাঁদের বাড়ির শিশুদের ডিজিট্যাল সার্টিফিকেট পেতে জাল জন্ম শংসাপত্র নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন। তাতে এক শিশুর বয়স দেখানো হয়েছে পাঁচ বছর, আরএকজনের ছয়। কিন্তু যে শংসাপত্রগুলি আনা হয়েছিল, সেগুলি ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে।  

    হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, এদিন যে দু’টি শংসাপত্র এনেছিলেন, সেগুলির রেজিস্ট্রেশন নম্বর মিলছিল না। হাসপাতালের নথিতেও এসব নেই। ওদের জেরা করে জানা যায়, অন্যজনের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে নকল সার্টিফিকেট করা হয়েছে। স্থানীয় সাইবার ক্যাফে থেকে এগুলি বানানো হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান  হলেও  পুলিশি পদক্ষেপ করা হয়নি। ওই দুই মহিলার একজন বলেন, গ্রামের একটি সাইবার ক্যাফেতে মাসির ছেলের সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়ে এটি তৈরি করেছিলাম। এর জন্য ৫০০ টাকাও নিয়েছে ওই ক্যাফে মালিক। এসআইআর আতঙ্কের কারণেই এমন করিয়েছি।হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাড়ির পুরনো কোনও সার্টিফিকেট স্ক্যান করে পিডিএফ এডিট সফটওয়ারে ফেলে এসব তৈরি করা হয়েছে। এমনকি, সার্টিফেকেটের সইও নকল করা হয়েছে!

    গত কয়েকদিনে প্রায় একই ঘটনা খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতাল ও বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালেও ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)