নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেলা সাড়ে বারোটা, উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট। জল অনেকটাই কমে এসেছে। বাকি থাকা জল নামাতে পুরসভার নিকাশি বিভাগের কর্মীরা গালিপিট, ম্যানহোল খুলে সাফাই করতে নেমেছেন। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের চক্ষু চড়ক গাছ! ম্যানহোল থেকে বেরোচ্ছে কাড়ি কাড়ি প্লাস্টিক, পলিথিন ব্যাগ, বাঁশের টুকরো, ডাবের খোলা আরও কত কী! ম্যানহোল খুলে সেগুলি তুলতেই হু হু করে নেমেছে জল।
তবে এই ছবি শুধুই সুকিয়া স্ট্রিটে নয়, কমবেশি শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন চিত্র দেখা মিলেছে। কোথাও পাম্পিং স্টেশনের স্ক্রিন বা লোহার জালের খাপে খাপে আটকে রয়েছে প্লাস্টিক, কাপড়, গুচ্ছ গুচ্ছ তুলো, কোথাও আবার নিকাশি খালে প্লাস্টিকের বোতল থেকে শুরু করে নানা ধরনের বর্জ্য বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকতে দেখা গিয়েছে। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই জনসচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে? বারবার প্রচার সত্ত্বেও যেভাবে একাংশের নাগরিকরা গালিপিট বা ম্যানহোল খুলে নোংরা ফেলছেন, তাতে উল্টে বৃষ্টির সময় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেই গোটা নাগরিক সমাজকেই।
মঙ্গলবার দিনভর কোথাও কোমর জল, কোথাও হাঁটু জলে ভেসেছে শহর। জল খানিকটা কমে আসতেই বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন ম্যানহোল, গালিপিট খুলে বাকি জল নামাতে তৎপর হয়ে পড়েন পুরকর্মীরা। শহরের প্রায় সর্বত্র বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই ম্যানহোল বা গালিপিট খোলা মাত্র দেখা মিল আছে প্লাস্টিক-বর্জ্যের।
এলাকা জলমগ্ন ছিল। বিশেষ করে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি ই এম বাইপাস সংলগ্ন পাটুলি, সন্তোষপুর, মুকুন্দপুর, অভিষিক্তা, আনন্দপুরের বাসিন্দাদের। বিভিন্ন জায়গায় কোথাও বাড়ির ভিতরে জল ঢুকেছে, জল থই থই ঘরে ভাসছে আসবাবপত্র। রান্নাবান্না শিকেয় উঠেছে। জলের পাম্প বিকল। বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাটের বেসমেন্ট জলে ডুবেছিল। এক পুর কর্তা বলেন, আবসনের বেসমেন্ট থেকে জল নামানোর জন্য অন্তত একশো ফোন এসেছে। কিন্তু, আমরা স্পষ্ট বলে দিয়েছি, আবাসনের ভিতর থেকে জল নামানোর দায়িত্ব পুরসভার নয়। আপনারা পাম্প করে জল রাস্তায় ফেলুন। পুরসভা সেই জল নামানোর ব্যবস্থা করবে। নিজস্ব চিত্র