• ৫ ঘণ্টায় ৩৪০ মিমির রেকর্ড বৃষ্টি সত্ত্বেও গড়িয়া, কামডহরির বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে জল নামল দ্রুত
    বর্তমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরের মধ্যে সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল এই অঞ্চলেই। কিন্তু সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত হওয়া সেই দুর্যোগ সামলে খটখটে রাস্তাঘাট গড়িয়া অঞ্চলে। গড়িয়া কামডহরি পাম্পিং স্টেশন এলাকায় মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘন্টায় ৩৪০ মিমি বৃষ্টির রেকর্ড হয়। কিন্তু সেই জল মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই নেমে যায়। কিছু কিছু অঞ্চলে যেখানে জল দাঁড়িয়েছিল, বুধবার সকালে থেকে সেখানে শুকনো রাস্তা। অবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও।

    গড়িয়া অঞ্চলের কামডহরি বিধানপল্লি ধাপার মাঠে দুর্গাপূজা হয়। সেই মণ্ডপ জলে ডুবে গিয়েছিল। বুধবার সকাল থেকে সেখানে গোটা মাঠ শুকনো। এর বাইরেও আতাবাগান, প্রগতি পার্ক, সুভাষপল্লি সহ গড়িয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রাস্তাঘাট পুরো ডুবে গিয়েছিল। বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে জল ঢুকে যায়। রীতিমতো ভোগান্তির পরিস্থিতি। কিন্তু সেই জন দ্রুত নামানো গিয়েছে বলেই দাবি কলকাতা পুরসভার। গোটা গড়িয়া অঞ্চলে পুরসভার আওতাধীন কেইআইআইপি প্রকল্পে নিকাশি উন্নয়নের কাজ হয়েছে। যার জেরে এই বদলে যাওয়া ছবি বলেই মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আশুতোষ চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা কিংবা রাতেও যখন শহরের অন্যান্য অঞ্চল জলমগ্ন, তখন আমাদের গড়িয়া এলাকার বড় বড় রাস্তা থেকে জল নেমে গিয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বা মূল রাস্তা সংলগ্ন অলিগলিতেও জল ছিল না। এমন পরিস্থিতি হবে ভাবাই যায় না! যে জায়গায় অল্প বৃষ্টিতেও জল জমে যেত, সেখানে এই বিপুল পরিমাণ জল যেন জাদুকাঠির বলে নেমে গিয়েছে। আমরা অবাক, আবাসনের একতলায় জল ঢুকে গিয়েছে। সেই জলও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেমেছে। স্থানীয় ১১১ নম্বরে ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ দাস বলেন, গড়িয়াতে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আর এখানে সবার আগে জল নেমেছে। পুরসভার নিকাশি উন্নয়নের কাজ সবার আগে এই অঞ্চলে শেষ করা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস গোটা বিষয়টি তদারকি করে দ্রুত কাজ করিয়েছিলেন। যার জেরে গড়িয়া, কামডহরি এলাকায় এই বদলে যাওয়া পরিস্থিতি। যে এলাকা থেকে জল নামাতে নাজেহাল অবস্থা হতো, সেই এলাকা থেকে এই বিপুল বৃষ্টির পরেও দ্রুত জল নেমে গিয়েছে। তবে, কিছু কিছু নিচু অঞ্চল, মাঠে জল রয়েছে। ঊষা পল্লি গভর্নমেন্ট কলোনি এলাকা, চলাচল মাঠ সহ বিভিন্ন নিচু অঞ্চল এখনও জলমগ্ন।   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)