বিয়ের পর প্রেম আর টিকল না! নিত্যদিনের ঝামেলার জেরে স্বামীর কান কামড়ে ছিঁড়েই নিলেন স্ত্রী, রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে যুবক ...
আজকাল | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথমে বেধড়ক মারধর। তারপরে কান কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ। দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীর কাণ্ডে হতবাক স্বামী। পারিবারিক অশান্তির জেরে তাঁর ডান কান কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে গিয়েই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। আহত ব্যক্তির নাম, অমিত শঙ্কর। তাঁর স্ত্রীর নাম সারিকা। পারিবারিক ঝামেলার জেরেই অমিতের ডান কান কামড়ে ছিঁড়ে নেন সারিকা।
অমিত জানিয়েছেন, 'সারিকা দাঁত দিয়ে কামড়ে আমার এক কান ছিঁড়ে নিয়েছে। ও আর আমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বারবার আমাকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করে। টাকা ও বাড়ি চায়। কিন্তু আমি সবজি বিক্রি করে সংসার চালাই। এত টাকা কোথায় পাব।' সেদিন রাতে সোফায় তিনি শুয়েছিলেন। আচমকাই বচসা শুরু করেন সারিকা। তখনই ঘুমন্ত স্বামীর উপর হামলা করেন। ঝগড়া করতে করতেই কান কামড়ে ছিঁড়ে নেন। এমনকী ধারালো অস্ত্র নিয়েও হামলা করেছিলেন সারিকা।
অমিত আরও জানিয়েছেন, আট বছর আগে ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে কোর্টে। স্ত্রীর এহেন কাণ্ডের পর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী। পাশাপাশি অমিতের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন সারিকা।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল বাংলা। তবে সেটি ছিল দুই ব্যক্তির মধ্যে বচসা। মুরগির খাবার নিয়ে সেই টাকা শোধ করতে না পারায় খরিদ্দারের কান কামড়ে ছিঁড়ে নিল দোকানদার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের স্বরূপকাঠি গ্রামে। যদিও খরিদ্দার এবং দোকানদার দু'জন পরস্পরের বন্ধু বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আপাতত হিমাদ্রি বর্মন নামে আহত ওই যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। অভিযুক্ত গোবিন্দ মণ্ডলকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সম্পর্কে দুই বন্ধু গোবিন্দ এবং হিমাদ্রির ওই এলাকায় আলাদা আলাদা পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ব্যবসা করে আসছেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার গোবিন্দর থেকে মুরগির খাবার নিয়েছেন হিমাদ্রি। ফলে তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ীক যোগাযোগটাও বেশ পুরনো। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি হিমাদ্রি গোবিন্দর থেকে তাঁর ফার্মের মুরগিদের জন্য খাবার নেয়। যে টাকা তিনি পরিশোধ করতে পারেননি বলেই জানা যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিঙ্গলগঞ্জের স্বরূপকাঠি বাজারে দু'জনের মধ্যে দেখা হয়। গোবিন্দ হিমাদ্রির থেকে পাওনা টাকা দাবি করে। এই নিয়ে প্রথমে সাধারণ কথাবার্তা শুরু হলেও একটু পরেই লেগে যায় তীব্র বচসা। সেখান থেকে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। বাজারের মধ্যেই চলতে থাকে এই গোলমাল। অভিযোগ, মারামারি চলার সময় আচমকাই গোবিন্দ হিমাদ্রির কানে কামড় দিয়ে বসে। হিমাদ্রির আর্ত চিৎকারে সবাই ছুটে এলে দেখা যায় গোটা কান শরীর থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে।
এই কাণ্ড দেখে হতবাক হয়ে যান বাজারের লোকজন। দ্রুত হিমাদ্রিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একজন চিকিৎসকের কাছে। সেখান থেকে ওই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলবিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ঘটনার কথা জানতে পেরে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত গোবিন্দ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার তাকে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হবে। সেইসঙ্গে হিমাদ্রির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার পর যখন গোবিন্দকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে এই কাজ কেন করেছে তখন গোবিন্দর উত্তর, দীর্ঘদিন ধরেই হিমাদ্রির কাছে মুরগির খাবার বাবদ ২০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে তার। তার দাবি, গত কয়েকমাস ধরে সে বারবার হিমাদ্রিকে অনুরোধ করছিল পাওনা টাকা যেন হিমাদ্রি তাঁকে দিয়ে দেন। কিন্তু হিমাদ্রি তাকে আজ দেব বা কাল দেব বলে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার বাজারে যখন হিমাদ্রির কাছে টাকা চাওয়ায় পর যখন হিমাদ্রি ফের তাকে পরে দেওয়ার কথা জানায় তখনই তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় বলে গোবিন্দর দাবি। তার কথায়, টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রথমে বচসা এবং সেখান থেকে হাতাহাতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।