• বিয়ের সময়ই ‘গোত্র’ বদল, বিবাহিত মহিলাদের সম্পত্তির অধিকার শ্বশুরবাড়িরই! বলছে সুপ্রিম কোর্ট
    প্রতিদিন | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও ‘উত্তরাধিকারী’ না থাকলে বিবাহিত হিন্দু মহিলাদের সম্পত্তির ভাগ পাবেন তাঁর স্বামীর উত্তরাধিকারীরা। মহিলার বাপের বাড়ির তরফে কেউ ওই সম্পত্তি দাবি করতে পারবেন না। কারণ বিবাহের সময়ই হিন্দু মহিলাদের ‘গোত্র’ বদলে যায়। এক সম্পত্তি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট।

    ১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকারী আইন অনুযায়ী, কোনও হিন্দু মহিলা যদি স্বামী-সন্তানহীন অবস্থায় মারা যান। এবং তাঁর কোনও উইল বা ইচ্ছাপত্র না থাকে, তাহলে তাঁর সম্পত্তি চলে যায় স্বামীর উত্তরাধিকারীদের কাছে। ওই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই ওই ‘গোত্র’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি নাগরত্ন। শীর্ষ আদালত সাফ বলছে, বিয়ের পর মেয়েদের দায়িত্ব পুরোটাই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির। ফলে তাঁর সম্পত্তিতে অধিকারও শ্বশুরবাড়ির।

    বিচারপতি নাগরত্ন বলছেন, “হিন্দু মেয়েদের বিয়ের সময় নাম বদলে যায়, গোত্র বদলে যায়। আমাদের ভালো লাগুক আর নাই লাগুক। কন্যাদানের সময়ই গোত্র বদলে যায়। দক্ষিণ ভারতের বহু জায়গায় সেটা বিয়ের সময় আলাদা ভাবে উদযাপনও করা হয়।” ওই গোত্র বদলের সঙ্গে সঙ্গেই মহিলাদের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব চলে যায় শ্বশুরবাড়ির উপর। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সম্পত্তিও শ্বশুরবাড়িরই পাওয়া উচিত। বিচারপতি বলছেন, “হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা কোনও রীতিকে শুধু আইনের মাধ্যমে বদলে দেওয়া যায় না।”

    বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন বলছেন, “একজন বিবাহিত মহিলা তো বাবা বা ভাইবোনদের কাছে ভরণপোষণের টাকা চান না। আইন অনুযায়ী সেটা কাদের দিতে হয়? স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে, সন্তানদের। কখনও তো খোরপোশ চেয়ে কোনও মহিলা ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে না। সেটাও তো করে স্বামীর বিরুদ্ধেই। তাছাড়া স্বামীর পরিবার ছাড়া অন্য কাউকে সম্পত্তি দিতে চাইলে কোনও মহিলা উইল করে যেতেই পারেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)