• চুলে তেল নেই কেন! ছাত্রীর চুল ব্লেড দিয়ে কেটে নিলেন শিক্ষিকা, এই স্কুলে কড়া শাস্তির নমুনা জানলে শিউরে উঠবেন
    আজকাল | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: চুলে তেল না দিয়ে স্কুলে আসার কড়া শাস্তি! রাগের মাথায় ছাত্রীর চুল কেটে নিলেন শিক্ষিকা। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের তরফে ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। জামনগরের স্বামীনারায়ণ গুরুকুল স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালেই ওই স্কুলের এক ছাত্রীর চুল ব্লেড দিয়ে কেটে দেন এক শিক্ষিকা। কারণ? ওই ছাত্রী চুলে তেল না দিয়ে স্কুলে এসেছিল। 

    স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই শিক্ষিকার কীর্তির কথা পরিবারকে জানিয়েছিল ওই ছাত্রী। এরপর ওই পরিবার জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরেই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 

    ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, অতীতে আরও একাধিক পড়ুয়াকে কড়া শাস্তি দেওয়া হয়েছে এই স্কুলে। ভুলবশত কোনও পড়ুয়া যদি বই আনতে ভুলে যেত, তাকে ১০০ বার কান ধরে উঠবস করানো হত। 

    দিন কয়েক আগে আরও এক শিক্ষিকার কাণ্ডে শোরগোল পড়েছিল আরেক রাজ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। ভোপালের মহাত্মা গান্ধী হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের এক শিক্ষিকা ক্লাসে বসেই ছাত্রদের পা টিপে দিতে বলেন। প্রথম কিছুক্ষণ আরাম করে চেয়ারে বসে বিষয়টি উপভোগ করছিলেন। কিন্তু কেউ ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করছে টের পেয়েই পা সরিয়ে নেন। 

    ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ওই স্কুলের একাধিক ক্লাসরুমে কোনও বেঞ্চ নেই। পড়ুয়ারা মেঝেতে বসেই ক্লাস করে। অন্যদিকে শিক্ষিকা ও শিক্ষকদের জন্য চেয়ার, টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে। পড়ুয়ারা মাটিতে বসে ক্লাস করলেও, শিক্ষিকারা চেয়ারেই বসে থাকেন। 

    ভরা ক্লাসরুমেই ওই শিক্ষিকা চেয়ারে বসে পা তুলে দেন আরেকটি চেয়ারে। এরপর এক ছাত্রকে ডেকে পা টিপে দিতে বলেন‌। কিন্তু কেউ ভিডিও রেকর্ড করছেন টের পেয়েই পা নামিয়ে রাখেন চেয়ার থেকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, লাঞ্চ ব্রেকের পর বাকি সব ক্লাসের পড়ুয়ারাই চুপচাপ ক্লাসরুমে পড়াশোনা করছিল। শুধুমাত্র চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা চেঁচামেচি করছিল। 

    এই চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসরুমেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই। মাটিতে বসেই ক্লাস করছিল তারা। সেই ক্লাসরুমের এক পড়ুয়াকেই শিক্ষিকার পা টিপে দিতে দেখা গেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়তেই, ওই শিক্ষিকা জানান, তাঁর পায়ে যন্ত্রণা করছিল। তাই এক পড়ুয়া এসে দেখছিল কী হয়েছে। জেলা শিক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঘটনাটি ঘিরে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁকে জানানো হয়েছে, শিক্ষিকা পায়ে চোট পান। সেটিই দেখতে গিয়েছিল ওই পড়ুয়া। বাকি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘিরে নেটিজেনরাও তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। 

    প্রসঙ্গত, এর আগেই আরেকটি স্কুলে এক শিক্ষিকার কাণ্ড দেখে নেটিজেনরা চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। স্কুলের মধ্যে পরপর পড়ুয়াকে উত্তম-মধ্যম দিলেন শিক্ষিকা। অবাধ্যতার জন্য নয়। স্কুলে এসেই কেন শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেনি তারা, এই হল তাদের অপরাধ। সেই অপরাধে বেধড়ক মারধর করেন ওই পড়ুয়াদের। যে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিভাবকরা। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম, সুকান্তী কর। ওই জেলার এক সরকারি স্কুলে ৩১ জন পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কারণ কী? স্কুলে সকালে প্রার্থনার পর ওই পড়ুয়ারা অভিযুক্ত শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেনি। 

    ওই ব্লকের এডুকেশন অফিসার বিপ্লব কর জানিয়েছেন, 'সেদিন স্কুলে সকালে প্রার্থনার পর সব পড়ুয়াই নিজেদের ক্লাসে চলে গিয়েছিল। শুধুমাত্র ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কয়েকজন পড়ুয়াকে ডেকে পাঠানো হয়। কেন প্রার্থনার পর পড়ুয়ারা শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেনি, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি।' সেই সময় যে সকল পড়ুয়ারা শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেনি, তাদের বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন তিনি। 

    গুরুতর আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরেই পড়ুয়ারা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নালিশ জানায়। তড়িঘড়ি করে আহত পড়ুয়াদের বেটনটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি আহত পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানান। 

    বিপ্লব কর জানিয়েছেন, অভিভাবকদের অভিযোগের পরেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পূর্ণচন্দ্র ওঝা খবরটি জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা ওই স্কুলে পৌঁছন‌। আহত পড়ুয়াদের সঙ্গেও দেখা করেন। অবশেষে ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)