• পুকুরে ছড়ানো হল বিষ, ভেসে উঠল রুই, কাতলা, মৃগেল, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি পুজোর মুখে! মর্মান্তিক ঘটনা এই জেলায় ...
    আজকাল | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুকুরে বিষ! দশ লক্ষাধিক টাকার মাছের মৃত্যু। হুগলির মগড়ার চন্দ্রহাটি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষপাড়া এলাকায় একটি ২৫ বিঘা পুকুরে গতকাল সন্ধায় কেউ বিষ দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষে জলাশয়ের সব মাছ মরে ভেসে ওঠে জলে। 

    রুই, কাতলা, মৃগেল, বাটা সহ নানা প্রজাতির মাছ ছিল পুকুরে। পুকুরে মাছ চাষীর দাবি, প্রায় ছয় টন মাছ মারা গেছে। যার মূল্য ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে মাথায় হাত তাঁর। 

    বলাগড় ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর তারা মালিক কলোনির বাসিন্দা অচিন্ত্য বিশ্বাস চন্দ্রহাটির ওই পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন গত তিন বছর ধরে। মাছ পাহাড়া দেওয়ার জন্য লোক রাখা আছে। গতকাল রাতে সেই পাহাড়াদার খবর দেন মাছ ভেসে উঠেছে পুকুরে। 

    ওই মাছ চাষী বলেন, 'সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা পর্যন্ত আমি পুকুরে ছিলাম। সাড়ে সাতটা নাগাদ পাহাড়াদার যান।তারপরই জানতে পারি মাছ ভাসছে পুকুরে। আমার কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। কেন এরকম করল জানি না।' খবর পেয়ে মগড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। 

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিস্তা নদীতে মাছের মড়ক। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সারদাপল্লি দু'নম্বর স্পার এলাকায় তিস্তার জলে ভেসে উঠেছে একের পর এক মরা মাছ। মরা মাছের ভিড়ে রয়েছে বোরোলি, খোকসা, আড়, বোয়াল-সহ নানা প্রজাতির মাছ। স্থানীয়দের অনুমান, নদীতে কীটনাশক মেশানোর ফলেই এই বিপত্তি। ঘটনাস্থলে যান জেলার মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা। 

    মাছের এই মৃত্যুর ঘটনা এদিন সকালেই নজরে আসে। স্থানীয়রা দেখতে পান, তিস্তার জলে একের পর এক মরা মাছ ভেসে উঠছে। বোয়াল, খোকসা-র সঙ্গে মরে গিয়ে ভেসে উঠছে উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত মাছ বোরোলি। অনেকেই নদীতে নেমে পড়েন মাছ ধরতে। যে যার মতো সংগ্রহ করে হাঁটা দেন বাড়ির পথে। পাশাপাশি বাসিন্দাদের অনেকেই এই মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁদের আশঙ্কা, বিষক্রিয়ার প্রভাবে মাছ মরে গিয়ে ভেসে উঠেছে। ফলে না খাওয়াই উচিত। 

     স্থানীয় বাসিন্দা চৈতন্য রায়ের অভিযোগ, দু'নম্বর স্পার এলাকায় কেউ নদীর জলে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। যার ফলেই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এই এলাকায় অনেকেই মাছ ধরতে আসেন। বিষ প্রয়োগের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়নি মৎস্য দপ্তরও। দপ্তরের আধিকারিক অম্লান দাশগুপ্ত বলেন, 'এই এলাকায় জলের স্রোত খুব বেশি। তাই বিষক্রিয়ার ঘটনা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, সকালে অনেকেই এখানে মাছ ধরতে আসে। বেশি মাছ পাওয়ার আশায় তাদের মধ্যে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। যদিও বিষয়টি আইনত দন্ডনীয়।' গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি এলাকায় এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং করা হবে বলে তিনি জানান।
  • Link to this news (আজকাল)