• অঘোরীদের আখড়ায় পা রাখলেই মিলবে শিবতাণ্ডবের ছোঁয়া
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • দক্ষিণ কলকাতার দুর্গাপুজোর মানচিত্রে ত্রিধারা সম্মিলনী অন্যতম নাম। প্রতিবছরই যেন আলাদা জৌলুসে তৈরি হয় পুজো মণ্ডপ। অভিনব থিম আর অনন্য মণ্ডপসজ্জার জন্য প্রতি বছরই ভিড় জমে এখানে। এ বারও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং এবারের আয়োজন নিয়ে ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে কৌতূহল তুঙ্গে। কারণ, ত্রিধারার ৭৯তম বর্ষে তাঁদের থিম ‘চলো ফিরি’। যেখানে দর্শনার্থীরা সরাসরি অনুভব করবেন অঘোরীদের রহস্যময় আখড়া ও ভগবান শিবের তাণ্ডব।

    মণ্ডপে পা রাখলেই যেন মনে হবে কলকাতা নয়, পৌঁছে গিয়েছেন হিমালয়ের কোনও অজানা উপত্যকায়। একদিকে উঁচু বেদীতে আসীন মহাদেব, অন্যদিকে মন্দিরে বসে আছেন দেবী। চারপাশে খোদাই করা দেবনাগরী লিপি, কালীমূর্তির প্রতিচ্ছবি, আর মাথার উপরে উড়তে থাকা পাহাড়ি পতাকা। সব মিলিয়ে দর্শনার্থীদের সামনে খুলে যাচ্ছে এক অলৌকিক দুনিয়া।

    পুরো ভাবনার নেপথ্যে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা। প্রতিমা থেকে মণ্ডপ, সব কিছুতেই রয়েছে তাঁর শৈল্পিক ছোঁয়া। তাঁরই কল্পনায় শিবতাণ্ডব ও অঘোরীদের উপস্থিতি একাকার হয়ে গেছে এ বছরের থিমে। বাস্তব ও কল্পনার মিশেলে তৈরি এই পুজো দর্শকদের নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে।


    ত্রিধারার পুজোর অন্যতম প্রাণপুরুষ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘আগেকার দিনে গুহার মধ্যে যেভাবে পুজো হতো, আমরা সেভাবেই এখানে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বুধবার থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পুজো মণ্ডপ। ইতিমধ্যেই চমৎকার সাড়া মিলছে দর্শনার্থীদের থেকে।

    শুধু মণ্ডপসজ্জা নয়, এ বার দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে এক বিশেষ চমক। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে মণ্ডপের ভেতরেই সরাসরি অঘোরীদের পরিবেশনা দেখা যাবে। শিবতাণ্ডবের আবহকে আরও বাস্তব করে তুলবে তাঁদের সেই উপস্থাপনা। ফলে ভিড় যে এবার আরও বহুগুণ বাড়বে, তা বলাই যায়।

    উল্লেখ্য, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ত্রিধারার দ্বার খুলে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রতিবছরের মতো এবারও হাজার হাজার মানুষ এখানে ভিড় করবেন তা একপ্রকার নিশ্চিত।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)