সভাপতি নির্বাচন নিয়ে সংঘ-বিজেপি টানাপোড়েন? ফড়ণবিসের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা
প্রতিদিন | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের নতুন সভাপতি নির্বাচন ঘিরে বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমেই আরও প্রকট হয়ে উঠছে। একদিকে, নিজেদের ঘনিষ্ঠ কোনও নেতাকে সভাপতি পদে বসাতে তৎপর নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। তাঁদের লক্ষ্য, ঘনিষ্ঠ কাউকে নেতৃত্বে রেখে দলের উপর প্রভাব বজায় রাখা। অন্যদিকে, সংঘ চাইছে দলের শীর্ষ পদে তাদের পছন্দের কাউকে আনা হোক।
এই টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। আর তাতে যে সংঘ অসন্তুষ্ট, সম্প্রতি সেটা প্রকাশ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সরসংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় উষ্মাপ্রকাশ করে তিনি বলে দেন, বিজেপির সভাপতি সংঘ ঠিক করে না। যদি সংঘই বিজেপির সভাপতি ঠিক করে দিত, তাহলে এত সময় লাগত না। সংঘ প্রধানের এই মন্তব্য ঘিরে বেশ চর্চা চলছিল। কেউ কেউ বলছিলেন, তাহলে কি বিরক্ত হয়ে বিজেপি সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে আরএসএস? মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ভাগবতের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
ফড়ণবিসের ব্যাখ্যা, সভাপতি নির্বাচনে বিজেপির একটি নিজস্ব পদ্ধতি আছে। সংঘ এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। সভাপতি নির্বাচনে বিজেপির একটি নিজস্ব পদ্ধতি আছে। মোহন ভাগবতও সেটাই বলতে চেয়েছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, লের সভাপতি নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে। এর মধ্যে কোনও সমস্যা বা জটিলতা নেই। কিন্তু ফড়নবিসের মন্তব্যে আবারও সেই জল্পনাই উসকে গেল। তাহলে কি সত্যিই সভাপতি নির্বাচন ঘিরে দূরত্ব বাড়ছে বিজেপি সংঘের।
একটা সময় বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে শিবরাজ সিং চৌহান, মনোহরলাল খাট্টার, ভুপেন্দ্র যাদবদের নাম শোনা গিয়েছিল। পরে তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপিতে অঘোষিত নীতি বলে, দলের সংগঠনে বড় পদের কেউ মন্ত্রিসভায় থাকেন না। সেই সূত্র মেনে সভাপতি পদ ছাড়তে হয়েছিল অমিত শাহকেও। এখন শোনা যাচ্ছে, সভাপতি পদে হিন্দি বলতে পটু এমন কোনও দক্ষিণ ভারতীয়কে বসাতে পারে বিজেপি। আবার মহিলা বা দলিত মুখের কোথাও ভাবা হতে পারে। কিন্তু আরএসএস-বিজেপির মত না মেলায় এখনও সভাপতির নাম ঘোষণা করা যায়নি।