সুমন করাতি, হুগলি: তাঁকে নিয়ে হাজারও বিতর্ক, দলের মধ্যেও বিরোধিতা কম নেই। এসব স্রেফ উড়িয়ে পুজোর সময় একেবারে ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠলেন উত্তরপাড়ার তারকা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। বৃহস্পতিবার, চতুর্থীর দিন উত্তরপাড়া অর্থাৎ নিজের বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত কোন্নগরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের হাতে পুজোর উপহার হিসেবে তুলে দিলেন নতুন বস্ত্র। তাঁকে এভাবে কাছে পেয়ে খুশি এলাকাবাসী। খুশি বিধায়ক নিজেও। বলছেন, ”পুজোর আগে সকলের সঙ্গে এটুকু আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।”
এ একেবারে দুয়ারে বিধায়ক! পুজোর সময় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় আমবাঙালির আবেগের কথা মাথায় রেখে বড়সড় উদ্যোগ নিলেন সেলেব বিধায়ক। উৎসবের সময়ে প্রত্যেকেই চান, নতুন জামাকাপড় পরে দেবীদর্শন করতে। কিন্তু অনেকের তেমন আর্থিক সামর্থ্য থাকে না। তাই ইচ্ছাকে বিসর্জন দিতে হয়। ইতিমধ্যে পুজো উপলক্ষে জেলা তৃণমূলের তরফে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু সেলেব বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক যা করলেন, তা প্রথম। পুজোর আগেই এবার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে একদম ঘরে ঘরে পৌঁছে তাঁদের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দিলেন।
পুজোর আগে বিধায়কের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আর কাঞ্চন মল্লিক বলছেন, ”আমরা সবাই আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল করি। সারাবছর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় আনন্দ উপভোগ করার অধিকার সকলের। তাই আমি সকলের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগ করে নিতে একটা ছোট্ট উদ্যোগ নিয়েছি। কোথাও কোনও মঞ্চ বেঁধে নয়, সাধারণ মানুষদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে তাঁদের হাতে পুজোর জন্য নতুন শাড়ি, জামাকাপড় তুলে দিয়েছি।”
কোন্নগরের এক বাসিন্দার কথায়, ”পুজোর আগে বিধায়কের এই উদ্যোগ সত্যি খুবই ভালো লাগছে। পুজোর আগে অনেক মানুষ নতুন শাড়ি, কাপড় পেলেন। সকলেরই ইচ্ছা থাকে যে পুজোয় নতুন জামাকাপড় হোক। বিধায়ক এই সময় সকলের পাশে এসে দাঁড়ানোয় সত্যি খুবই খুশি সবাই।”