আজকাল ওয়েবডেস্ক: অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর। স্ত্রীর সঙ্গে বেঙ্গালুরুর বিমান ধরার জন্য ইন্দোর বিমানবন্দরের ডিপার্চার হলে বসে রিক্লাইনার সিটে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। সেই সময়ে আচমকা একটি ইঁদুর ওই ব্যক্তির পা বেয়ে উঠে পড়ে। সটান প্যান্টের ভিতরে ঢুকে যায়! যা দেখেই আতঙ্কে তিনি দ্রুত সেটিকে ধরার চেষ্টা করেন।
প্যান্টের মধ্যে ইঁদুর ঢুকতে দেখেই ওই ব্যক্তি ভয় পেয়ে যান। তড়িঘড়ি প্যান্ট খুলে ইঁদুরটিকে ধরার চেষ্টা করেন। তখনই ইঁদুরটি ব্যক্তিটির পায়ে কামড়ে দেয়। সেই সময়ে ইন্দোর বিমানবন্দরের ডিপার্চার হলে হইহই কাণ্ড। চিৎকার শুনেই বিমানবন্দর কর্মীরা ছুটে এসে ব্যক্তিটিকে মেডিক্যাল রুমে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে অ্যান্টিবায়োটিক ও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তবে, বিমানবন্দরের চিকিৎসা কেন্দ্রে টিকা মজুদ ছিল না বলে জানা গিয়েছে।
ইন্দোর বিমানবন্দরে ইঁদুরের এই উৎপাতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের ডিরেক্টর বিপিনকান্ত শেঠ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে নিশ্চিত করেছেন যে, মেডিক্যাল রুমে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক যাত্রীর প্রতি অসংবেদনশীল আচরণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর কতায়, "যদিও চিকিৎসকের আচরণ অভদ্র ছিল না, তবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রত্যাশিত সহানুভূতির অভাব ছিল। আমরা হাসপাতালকে বিমানবন্দরে তাঁর জায়গায় অন্য একজন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছি।"
চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি, কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘটনাটি রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং হাউস ক্লিন স্টাফদের ত্রুটির কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনা বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা এবং সাইটে স্বাস্থ্যসেবা উভয়ই পর্যালোচনা করতে বাধ্য হয়েছেন।