• মাদ্রাসার শৌচাগারের দরজা খুলতেই দেখা গেল ৪০ জন নাবালিকা ভয়ে কাঁপছে! যোগীরাজ্যে তল্লাশিতে ফাঁস চাঞ্চল্যকর ঘটনা...
    আজকাল | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে আবারও ভয়াবহ কাণ্ড। শৌচাগারে আটকে চল্লিশ নাবালিকা। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে একটি বেআইনি মাদ্রাসার শৌচাগার থেকে অন্তত ৪০ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, পরিদর্শনের সময় তাঁদের শৌচাগারের ভিতরে আটকে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রত্যেকের বয়স ৯ থেকে ১৪ বছর। খবর অনুযায়ী ওই ছাত্রীরা অত্যন্ত আতঙ্কিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    পায়াগপুরের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) অশ্বিনী কুমার পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পাহলওয়ারা গ্রামের একটি তিনতলা বাড়িতে ওই বেআইনি ইসলামিক প্রতিষ্ঠানটি চলছিল। অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসন সেখানে পরিদর্শনে যায়। এসডিএম বলেন, “বুধবার আমরা যখন পরিদর্শনের জন্য পৌঁছই, মাদ্রাসার পরিচালকেরা প্রথমে আমাদের উপরে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আমরা ভিতরে ঢুকি এবং ছাদে একটি শৌচাগার তালাবন্ধ অবস্থায় দেখতে পাই।”

    এসডিএম-এর মতে, এক জন মহিলা আধিকারিক দরজা খুলতেই দেখেন, শৌচাগারের ভিতরে কমপক্ষে ৪০ জন নাবালিকা রয়েছে। তারা অত্যন্ত আতঙ্কিত ছিল এবং স্পষ্ট ভাবে কিছুই বলতে পারছিল না। জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিক মহম্মদ খালিদকে প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রেশন এবং আইনি বৈধতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় তিন বছর ধরে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই মাদ্রাসাটি চলছিল। কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন বা বৈধতা সংক্রান্ত কোনও নথিই দেখাতে পারেননি। খালিদ বলেন, “২০২৩ সালের সমীক্ষায় বাহরাইচে ৪৯৫টি বেআইনি মাদ্রাসা চিহ্নিত হয়েছিল। মনে হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানটি সে সময় সমীক্ষকদের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল।”

    মাদ্রাসায় আটটি ঘর থাকা সত্ত্বেও কেন নাবালিকাদের শৌচাগারে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, এই প্রশ্নের জবাবে এক শিক্ষিকা দাবি করেন, শোরগোলে আতঙ্কিত হয়ে ছাত্রীরা নিজেরাই ভিতরে ঢুকে তালা দিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ মাদ্রাসার নথি পরীক্ষা করছে। কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত ছাত্রীকে নিরাপদে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। ছাত্রীরা ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে গিয়েছে বলস খবর।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রমানন্দ প্রসাদ কুশওয়াহ্ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তাঁর কথায়, “ছাত্রীদের অভিভাবক, এসডিএম বা সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিক- কেউই এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই বারাণসীর একটি মাদ্রাসায় চুরির অভিযোগে ১২ বছর বয়সি এক ছাত্রকে টানা দু'দিন ধরে বেধড়ক মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
  • Link to this news (আজকাল)