সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দুই ধরে রোদেলা, শুষ্ক আবহাওয়ায় ছেদ। চতুর্থীর সন্ধ্যায় যখন উৎসবপ্রেমী বাঙালি মণ্ডপ দর্শনের ভরপুর আমেজে গা ভাসিয়েছেন, ঠিক সেই সময়েই ফের আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামল কলকাতায়। কিছুক্ষণের বৃষ্টিতে ভাসল নিউটাউন, সল্টলেক এলাকা। রাস্তা ছেড়ে তড়িঘড়ি প্যান্ডেলে মাথা গোঁজার জন্য ছুটেছেন দর্শনার্থীরা। যাঁরা যেতে পারলেন না, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ছাতা দিয়ে আড়াল করলেন মাথা। কেউ কেউ ভিজে যাওয়া নতুন জামাকাপড় সামলাতে ব্যস্ত। কিন্তু তবু উৎসবের রেশ কমেনি এতটুকুও।
এ যেন জানাই ছিল! হাওয়া অফিস তো পূর্বাভাস দিয়েই রেখেছে। পুজোর মাঝে ভারী বৃষ্টি না হলেও বিক্ষিপ্ত বারিধারায় স্নাত হবে দুর্গোৎসব। বৃহস্পতিবার, চতুর্থীর সন্ধ্যায় সেই পূর্বাভাস মিলল অক্ষরে অক্ষরে। ঠিক রাত ৮টা, উৎসবের আমেজ যখন মধ্যগগনে, কেউ কেউ সবে রাতভর ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা নিয়ে বেরনোর কথা ভাবছেন, সেই সময়েই তুমুল বৃষ্টি। শুধু কি কলকাতায়? মোটেই না। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলিতেও একই পরিস্থিতি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির তোড় খানিকটা কমে আসে। তখন আবার রাস্তায় ভিড় উৎসবপ্রেমী মানুষজনের।
পুজোর বাকি দিনগুলিও কি এমন বৃষ্টিভেজা হয়েই কাটবে? এমনই দমকা বর্ষণে আচমকা ছেদ পড়বে পুজোর আনন্দ? তেমনটাই হতে চলেছে বলে একাধিকবার আভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পঞ্চমী, ষষ্ঠীতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে স্বস্তির খবর এই যে, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তাই ঠাকুর দেখায় ক্ষণিক বিরতি হলেও একেবারে বন্ধ হবে না। বৃষ্টি বাঁচিয়ে সুস্থভাবে পুজো কাটাতে হবে। রাজ্যবাসীকে সে বিষয় সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। উৎসবের বাংলায় এটুকু সতর্ক তো থাকাই যায়।