অষ্টমীর সন্ধ্যায় সহস্র দর্শনার্থীর জন্য ভোগের ব্যবস্থা লীলাহাটি সর্বজনীনের
বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিষ্ণুপদ রায় হলদিবাড়ি
হলদিবাড়ি ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস লীলাহাটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজো এবছর ১৩ বছরে পড়ল। সাদামাটা পুজো প্যান্ডেল হলেও গোটা মণ্ডপ ঘিরে থাকবে আলোকসজ্জা। পাশাপাশি সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিবছরের মতো এবছরও এলাকার দুঃস্থদের মধ্যে বিলি করা হবে নতুন পোশাক। পুজো আয়োজকরা জানিয়েছেন, মহাষ্টমীর সন্ধ্যা থেকে সহস্র দর্শনার্থীকে খাওয়ানো হবে ভোগের খিচুড়ি।
রাস লীলাহাটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন, সভাপতি রেবতীকুমার ব্যাধ, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দেব অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ রায়, হিসেবরক্ষক সুব্রত রায়। পুজো পরিচালনার মূল দায়িত্বে আছেন খগেন রায়।
পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল ব্যাধ বলেন, রাস লীলাহাটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এই পুজো শুরুতে তেমন বড় আকারে হতো না। কোচবিহার রাজআমল থেকে এখানে বড় করে রাসমেলা হতো। জমি সমস্যা সহ কয়েকটি কারণে কয়েক বছর ধরে রাসমেলা বন্ধ হলে আমরা পাড়ার সকলে মিলে গ্রামে বড় করে দুর্গাপুজো করার উদ্যোগ নিই। বিগত বছরও বড় করেই পুজো করছি। এবার অবশ্য খুববেশি বড়মাপের পুজো না হলেও আমরা স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে চারদিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। সমাজসেবামূলক কিছু কর্মসূচিও হাতে রেখেছি। এসব দিকেই এবার জোর দিয়েছি আমরা।
পুজো কমিটির সহ সভাপতি দিলীপ ব্যাধ বলেন, আমাদের পুজোয় প্রতিবছর অষ্টমীর দিন গ্রামের মহিলারা সাদা-লাল পারের শাড়ি পরে উমাকে ভোগ নিবেদন করতে আসেন। অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে এখানে পুজো করা হয়।
পুজো শুরুর একমাস আগের থেকে পাড়ার মহিলা-পুরুষরা দল বেঁধে চাঁদা সংগ্রহ করছেন। এবার বাঁশ, কাপড়, প্লাইবোর্ড দিয়ে মণ্ডপ বানানো হচ্ছে। অষ্টমীর রাতে পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করা হবে বলে পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। -নিজস্ব চিত্র।