কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের ভিতরেই রয়েছে কাঠামিয়া মন্দির। সেখানে রাজআমল থেকেই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। মায়ের মুখ এখানে রক্তবর্ণা। একচালা প্রতিমায় এখানে মায়ের সঙ্গে চার সন্তানই উপস্থিত থাকেন। অষ্টমীতে মোষ বলি ও নবমীতে পঞ্চবলির প্রচলন রয়েছে। রাজআমলের গয়নায় মাকে এখানে সাজিয়ে তোলা হয়। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা বড়দেবীর মন্দির, গোসানিমারি মন্দির ও এই কাঠামিয়া মন্দিরে মোষ বলি হয়। এখানকার প্রতিমা দীর্ঘকাল থেকে একই কাঠামোতে পুজো হয়ে আসছে। পুজোর শেষে মায়ের প্রতিমা তোর্সার ফাঁসিরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নৌকায় চাপিয়ে নদীবক্ষে ঘোরানো হয়। এরপর বিসর্জন হয়। বিসর্জনের পর সেই কাঠামো আবার নিয়ে আসা হয়।
কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, কাঠামিয়া মন্দিরের দুর্গাপ্রতিমা গুঞ্জবাড়িতে তৈরি হচ্ছে। ষষ্ঠীর দিন প্রতিমা আসবে। মাকে গয়নায় সাজিয়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে মোষ বলি, পঞ্চবলি ইত্যাদি রীতি মেনেই পুজো হবে। বিসর্জনের পর প্রতিমার কাঠামো আবার মন্দিরে নিয়ে আসা হবে।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঠামিয়া মন্দিরের পুজোয় অষ্টমীর দিন মোষের পাশাপাশি পাঁঠা বলিও হয়। এরপর নবমীতে পঞ্চবলিতে পাঁঠা, পায়রা, হাঁস, মাগুর মাছ ও চালকুমড়ো বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে। পুজোর সময় মা’কে ১০ ভরির সোনার হার পরানো হয়। সেইসঙ্গে রুপোর বাসনপত্র ব্যবহার করা হয়। রাজআমল থেকে চলে আসা রীতি নিয়ম মেনে মা এখানে পূজিত হয়ে আসছেন। যা অনন্য এক ধারাবাহিকতায় নিদর্শন হয়ে রয়েছে।